কাতারে হামলা নিয়ে যা বললেন এরদোগান
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: গত সপ্তাহে ইসরাইলের হামলার প্রেক্ষাপটে দোহায় অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামিক সম্মেলন মুসলিম বিশ্বের কাতারের প্রতি অটুট সমর্থন প্রমাণ করেছে— এমনটাই বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তথ্যসূত্র: আনাদোলু
এরদোগান সোমবার ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-আরব লীগ বিশেষ সম্মেলনে বলেন, কাতারে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের আলোচক দলকে লক্ষ্য করে হামলা ইসরাইলের ‘দস্যুতাকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সন্ত্রাসী মানসিকতার মুখোমুখি, যা বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত থেকে পুষ্টি পায়, আর একটি রাষ্ট্র সেটির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এরদোগান বলেন, ‘নেতানিয়াহুর সরকারের লক্ষ্য স্পষ্ট— ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রাখা এবং একই সঙ্গে পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। এজন্য আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইসলামী বিশ্বের কাছে ইসরাইলের সম্প্রসারণবাদী স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ার যথেষ্ট উপায় ও সামর্থ্য রয়েছে। এজন্য তেল-আবিবকে অর্থনৈতিকভাবেও কোণঠাসা করতে হবে।’
এরদোগান জানান, আঙ্কারা ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে পূর্ণ ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
কাতারের পাশে তুরস্ক-
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন, তাদের মিত্র ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতারের পাশে আঙ্কারা সব সময় থাকবে।
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পের সক্ষমতা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করতে তুরস্ক প্রস্তুত।
তার ভাষ্য, ‘আগামী দশকগুলোতে জিততে হলে আমাদের সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে। ‘
আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপের দাবি-
এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, ‘ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো ব্যবহার করতে হবে। আমরা এমন এক সন্ত্রাসী মানসিকতার সঙ্গে লড়ছি, যা বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাতের ওপর নির্ভর করে এবং একটি রাষ্ট্র সেই মানসিকতাকে ধারণ করে আছে। এই মানসিকতা জাতিসংঘ সনদকে প্রকাশ্যে লঙ্ঘন করছে, নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং তাদের অপরাধ শাস্তিহীন থাকায় বেঁচে আছে।’
তিনি আরও বলেন, কিছু উচ্ছৃঙ্খল ইসরাইলি রাজনীতিবিদ বারবার ‘গ্রেটার ইসরাইল’ ভ্রান্ত ধারণা প্রচার করে।
এরদোগান আবারও দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন যে, ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি পূর্ণ ভৌগোলিক অখণ্ডতাসম্পন্ন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তুরস্ক সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন- বাস্তুচ্যুতি, গণহত্যা ও বিভক্তিকে সহ্য করা হবে না। তিন আশা ব্যক্ত করেন, সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলো ইসরাইলি হুমকি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পদক্ষেপে রূপ নেবে এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বিআলো/শিলি