কোনো অজুহাতেই জঙ্গিবাদ অ্যালাউ করতে পারি না: আসিফ নজরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনোভাবেই কোনো অজুহাতেই, কোনো মোড়কেই জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদকে অ্যালাউ করতে পারি না বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ২০০৫ সালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত জেলা জজ আদালতের দুই বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদ স্মরণে আয়োজিত সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সাব্বির স্মরণ করে ড. আসিফ নজরুল আমাদের দুইটা শিক্ষা আছে। ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ফয়েজ বক্তব্য রাখেন।
প্রয়াত দুই বিচারককে স্বরণ করে আসিফ নজরুল বলেন, জঙ্গিবাদ কত ভয়াবহ। এখানে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ কী ভয়ংকর জিনিস। মানুষকে কত যুক্তিহীন অমানুষ ও নিষ্ঠুরে পরিণত করে। আমার মনে হয় না পৃথিবীতে অন্য কোনো কিছু মানুষকে এতটা নিষ্ঠুর মরিয়া বেপরোয়া করতে পারে জঙ্গিবাদ। যে কোনো ধর্মের হতে পারে। এটা আমাদের শিক্ষা দেয় আমরা কোনোভাইবে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদকে অ্যালাউ করতে পারি না। কোনো অজুহাতেই না। কোনো মোড়কেই না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের চারপাশে তো বন্ধুভাবাপন্ন দেশ নেই। তাদের সব সময় চেষ্টা থাকে বাংলাদেশকে হেয় করা, একটা ঘটনা ফুলিয়ে ফাপিয়ে দেখা, এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করা। আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা যদি দেশের ভালো চাই, মানুষের ভালো চাই, সমাজের ভালো চাই বন্ধুদের ভালো চাই, সন্তানদের ভালো চাই, আমাদের দেশকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে চাই, বাংলাদেশকে আর কোনো ফ্যাসিবাদ বা ষড়যন্ত্রের মুখ থেকে রক্ষা করতে চাই, আমাদের অবশ্যই জঙ্গিবাদ মৌলবাদ থেকে নিজের দেশকে রক্ষা করতে হবে যে কোনো মুল্যে রক্ষা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে এর সুযোগ নিয়ে আমাদের দেশের সম্ভাবনাকে আমাদের অগ্রযাত্রাকে যেন কেউ ব্যাহত করতে না পারে। দেশি বা বিদেশি শক্তি।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের এ দিনে বিচারকদের বহনকারী মাইক্রোবাসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন জেলা জজ আদালতের দুই বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদ। ঘটনার দিন ১৪ নভেম্বর, বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে নিজ বাস- ভবন থেকে বেরিয়ে অপেক্ষমাণ মাইক্রোবাসে ওঠেন। এরপর অন্য এক বিচারককে নিতে মাইক্রোবাসটি থামে কোয়ার্টারের সামনে। চালক তাদের গাড়িতে রেখে ওই বিচারককে আনতে যান।
বিআলো/তুরাগ