ক্রেডিট কার্ড: সুবিধা, অসুবিধা ও গ্রেস পিরিয়ড যেভাবে কাজ করে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড সেবা। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করলে তাৎক্ষণিক বিল পরিশোধ করতে হয় না। ব্যাংকভেদে বিল পরিশোধের জন্য ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় পাওয়া যায়। এই সময়ে কোনো সুদ বাবদ টাকা গুনতে হয় না, যা ক্রেডিট কার্ডে গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে পরিচিত।
গ্রেস পিরিয়ড হলো একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা, যেখানে আপনি বকেয়া বিল সম্পূর্ণ পরিশোধ করলে কোনো সুদ ছাড়াই ঋণ ব্যবহার করতে পারেন। এই সময়ের মধ্যে পুরো টাকা পরিশোধ করতে পারলে আপনি সুদ এড়িয়ে চলতে পারেন, যা আপনাকে বাড়তি খরচ থেকে বাঁচাবে। এটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের একটি প্রধান সুবিধা। এটি আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করে। আপনাকে ঋণের চাপ থেকে কিছুদিন মুক্ত রাখে।
জানা গেছে, এই পর্যন্ত ৫৪ লাখ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্রেডিট কার্ড লেনদেন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, গত জুলাই মাসে ৩ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে।
গ্রেস পিরিয়ড কীভাবে কাজ করে-
প্রতিবার কার্ড ব্যবহারের পর একটি বিবরণী আসে। এই বিবরণীতে বিল পরিশোধের একটি শেষ তারিখ উল্লেখ থাকে। এই তারিখ থেকে পরবর্তী ৪৫ দিন পর্যন্ত গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে গণ্য হয়। ব্যাংকভেদে এই সময়সীমা কমবেশি হয়। যদি আপনি আপনার আগের মাসের বকেয়া বহন না করেন এবং এই সময়ের মধ্যে আপনার সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করেন, তাহলে নতুন কেনাকাটার ওপর কোনো সুদ প্রযোজ্য হবে না। যদি আপনি পুরো বিল পরিশোধ না করেন, তবে আপনি গ্রেস পিরিয়ড হারাবেন ও পরবর্তী বিলের সঙ্গে সুদ যুক্ত হবে।
গ্রেস পিরিয়ডের সুবিধা-
১. এই সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করলে নতুন কেনাকাটার ওপর কোনো সুদ দিতে হয় না।
২. হঠাৎ টাকার প্রয়োজন হলে আপনি সুদ ছাড়াই সেই সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারেন। গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে সুদের টাকা বাঁচাতে পারেন।
৩. সময়মতো ও সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করলে আপনার ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকে, যা ভবিষ্যতে ঋণ পেতে সাহায্য করে।
৪. ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি কমে যায়, যা একটি নিরাপদ মাধ্যম।
৫. ক্রেডিট কার্ড আপনাকে একটি স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয়, যার মাধ্যমে আপনি আপনার আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে পারেন, যদি আপনি সময়মতো বিল পরিশোধ করেন।
বিআলো/শিলি