ক্রেতা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে দৃষ্টিনন্দন ক্যাকটাস
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর নগর ভবনের সবুজ চত্বরে বসেছে মাসব্যাপী বৃক্ষমেলা। নানান জাতের ফুল,ফল আর ঔষধি গাছের সমারহ মেলা জুড়ে। দেখে মনে হবে যান্ত্রিক নগরীর মাঝে ছোট্ট এক টুকরো সবুজ অরণ্য। এর মধ্যে ক্রেতা দর্শনার্থীদের নজর করেছে মরুর উদ্ভিদ অনন্য সৌন্দর্যের দৃষ্টিনন্দন ক্যাকটাস। ডালপালা বিহীন রুক্ষ কাটাযুক্ত হলেও অদ্ভুত গড়নের এই উদ্ভিদটি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। ঘর আর বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর জুরি মেলা ভার। রাজশাহীর এই মেলায় ৩০ থেকে ৩৫ প্রজাতির ক্যাকটাস পাওয়া যাচ্ছে। সৌন্দর্য পিপাসুরাও ভিড় করছেন স্টলগুলোতে।
রাজশাহী দুর্গাপুরের বৃক্ষ প্রেমী রায়হান ইসলাম জানান, মেলায় এসেছিলাম ফুলের গাছ কেনার জন্য। কিন্তু নানান জাতের দৃষ্টিনন্দন ক্যাকটাস দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না তাই ফুলগাছ বাদ দিয়ে ক্যাকটাস কিনলাম। নগরীর উপকন্ঠ পশ্চিম বুধপাড়া থেকে তামজিদ ও শোভা খাতুন দম্পতি এসেছেন ক্যাকটাস কিনতে। তারা জানান আগে থেকেই ক্যাকটাসের প্রতি ভালোবাসা। বেশ কিছু আমাদের সংগ্রহে রয়েছে। আজ আরও কিছু কিনব। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবছর দামটা একটু বেশি। দাম একটু কম হলে অনেকেরই ক্যাকটাসের প্রতি আগ্রহ জন্মাবে।
ক্যাকটাসকে মরুর উদ্ভিদ বলা হলেও এর আদি আবাসস্থল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায়। তথ্য বলছে, বিশ্বে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ প্রজাতির ক্যাকটাস পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে ৪৬ প্রজাতির। এর মধ্যে গোল্ডেন ব্যারেল, ওল্ড লেডি, নিপল ক্যাকটাস, সেরিয়াস, এপি ফাইলাম, ফনীমনসা, নাইট কুইন, মেলো, নোটো, লবিভিয়া, এভোনিয়া কুইনারিয়া, মিনিমা, জেবরিনা, নাপালিও, ক্রাসুলা মরগান বিউটি ইত্যাদি। চীন জাপান মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাকটাস চাষ করা হয়। বাংলাদেশেও স্বল্পপরিসরে শুরু হয়েছে এর চাষাবাদ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, পর্যাপ্ত সহায়তা ও রপ্তানির সুবিধা পেলে বাংলাদেশেও ক্যাকটাস শিল্প সমৃদ্ধ হবে।
বিআলো/ইমরান