খাসমহাল সুরক্ষা এখন সময়ের দাবি: সিনিয়র সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে খাসমহাল রাষ্ট্রীয় সম্পদের মূল ভিত্তি। এটি কোনো ব্যক্তির মালিকানাধীন নয়, বরং জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত—যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আবাসন ও উন্নয়নমূলক কাজে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, খাসমহলের বহু জমি দখল, অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে খাসমহাল সুরক্ষা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
আজ রবিবার (৫ অক্টোবর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত “খাসমহাল সুরক্ষা বিষয়ক” এক সভায় সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় সভায় তিনি বলেন, “খাসমহল রাষ্ট্রীয় সম্পদের অংশ। এটি দরিদ্র ও ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, সরকারি প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অপরিহার্য।”
তিনি আরও বলেন, “খাসজমির সঠিক ব্যবস্থাপনা হলে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হয়, ভূমিহীনদের জীবনমান উন্নত হয় এবং সামাজিক ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা পায়।”
সিনিয়র সচিব সালেহ আহমেদ জোর দিয়ে বলেন, খাসমহালের সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হলে সরকার, প্রশাসন ও জনগণের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। “খাসমহাল সুরক্ষা শুধু ভূমি রক্ষার বিষয় নয়—এটি ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত। আমরা সকলে মিলে খাসমহালকে রক্ষা করি—জনগণের কল্যাণে, দেশের উন্নয়নে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, খাসহালভুক্ত লিজকৃত ও হস্তান্তরকৃত জমি সংক্রান্ত প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতা এখন বড় একটি চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে সুশাসন, তথ্যপ্রযুক্তির কার্যকর প্রয়োগ এবং প্রশাসনিক সমন্বয় বাড়ানো জরুরি। “ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে, ভূমি বিরোধ কমবে এবং টেকসই উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে।”
বিআলো/তুরাগ