গজারিয়ায় প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল আজিজ মাহফুজের মৃত্যু, গণমাধ্যমে শোক
সাংবাদিকতা অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া
নিজস্ব প্রতিবেদক: গজারিয়ার বাউশিয়া ইউনিয়নের মনারকান্দি গ্রামের শান্ত সকালটি হঠাৎই ভারী হয়ে ওঠে এক বেদনাবিধুর সংবাদে। এলাকার সর্বজনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ সাংবাদিক আব্দুল আজিজ মাহফুজ আর জীবিত নেই—এই খবরটি যেন মুহূর্তেই পুরো গজারিয়ার আকাশে শোকের কালো চাদর নামিয়ে আনে। সত্য ও মানবতার পক্ষে যার কলম ছিল সদা জাগ্রত, সেই মানুষের প্রয়াণে থমকে যায় স্থানীয় সাংবাদিক অঙ্গন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী সাংবাদিক এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে নেমে আসে গভীর বিষাদ। সামাজিক মাধ্যমেও শোকবার্তার ঢল নামে।
মরহুমের ছোট ভাই এবং ভবেরচর ওয়াজীর আলী হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল গাফফার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আজ বাদ আছর নিজ বাড়িতেই মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের সদস্যদের মতে, তিনি শুধু একজন ভাই নন, পুরো পরিবারের শক্তি ও আশা ছিলেন।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে গজারিয়া উপজেলায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে সত্য অনুসন্ধান এবং সমাজের সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিবেদিত করে রেখেছিলেন আব্দুল আজিজ মাহফুজ। দুর্নীতি, অনিয়ম, সামাজিক সমস্যা—এসবের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় ছিলেন সাহসের প্রতীক। তার প্রতিবেদনে মানুষের কথা, সমাজের বাস্তব চিত্র এবং মানবিক মূল্যবোধ ফুটে উঠতো গভীর সততার সঙ্গে।
স্থানীয় মানুষের কাছে তিনি শুধু সাংবাদিক ছিলেন না; ছিলেন একজন পরামর্শদাতা, সমস্যায় পাশে দাঁড়ানো একজন মানবিক মানুষ, এবং সমাজ পরিবর্তনের এক অনুপ্রেরণাদায়ী মুখ। তার মৃত্যুতে গজারিয়ার সাংবাদিকতা অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয় বলে মনে করছেন তার সহকর্মীরা।
আজ বাদ আছরের জানাজায় এলাকার অসংখ্য মানুষ উপস্থিত হবেন বলে জানা গেছে। প্রিয় মুখটি আর ফিরে না এলেও তার কাজ, তার নীতি, তার মানবিকতা এবং সমাজের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।
বিআলো/তুরাগ



