গবেষণার মাধ্যমে টেকসই বাংলাদেশের ভিত্তি গড়া সম্ভব: পিবিপ্রবি উপাচার্য
নিজস্ব প্রতিবেদক: গবেষণার মাধ্যমে টেকসই বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটি আয়োজিত প্রথম জাতীয় ইয়ুথ রিসার্চ সামিট ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
‘Multidisciplinary Youth Research Towards a Sustainable Bangladesh’ বিষয়ক এই সামিট ১৮ অক্টোবর শনিবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫০০ প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “গবেষণার মাধ্যমেই টেকসই বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি হয়। গবেষণা কেবল জ্ঞানের পরিধিই বাড়ায় না; বরং সমাজের গভীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এবং সেসব সমস্যার কার্যকর ও স্থায়ী সমাধান বের করতে সাহায্য করে। তরুণরাই একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের রূপকার। গবেষণা ও জ্ঞান আদান-প্রদানের মাধ্যমে তারা সমাজ ও দেশের পরিবর্তনের পথিকৃৎ হতে পারে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আজকের বিশ্বের সমস্যাগুলো অত্যন্ত জটিল এবং আন্তঃসম্পর্কীয়। এগুলো এককভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, জনস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সাইবার নিরাপত্তার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের বহুমুখী গবেষণা প্রয়োজন।”
পিবিপ্রবি উপাচার্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কনফারেন্স আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
সমাপনী পর্বে মূল বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু বিন হাসান সুসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনজুরুল করিম, এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাকিবুল হক। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মো. আজম খান, আর সঞ্চালনা করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জেরিন তাসনিম।
এর আগে সকাল ৯:০০টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন।
কনফারেন্স আয়োজকেরা জানান, এটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থী ও তরুণ গবেষকদের একত্রিত করেছে, যাতে তারা নিজেদের মধ্যে চিন্তাশক্তি বিনিময় করতে পারে। এছাড়া অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের গবেষণা উপস্থাপন, সৃজনশীলতা প্রকাশ এবং সহগবেষক ও শিক্ষক-পরামর্শদাতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ পান। আয়োজকরা মনে করেন, এটি তরুণ মেধাবীদের জন্য সমাজ ও বাস্তব জীবনের সমস্যা অন্বেষণ ও সমাধানের ক্ষেত্রে দারুণ সহায়ক হয়েছে।
বিআলো/তুরাগ



