গলাচিপায় গণঅধিকার নেতাদের বহরে হামলার অভিযোগ, ১৪৪ ধারা জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক: গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বহরে হামলা, অবরোধ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায়। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন দুই উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
দলটির শীর্ষ নেতা ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, “আমাদের বহর পথের মধ্যে গাছ ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। রামদা, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেওয়া হয়। অথচ পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীর কেউ আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি।”
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে গলাচিপা উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

নুর আরও বলেন, “আমরা চাইলে এর জবাব দিতে পারতাম। কিন্তু আমি চাইনি এলাকায় সহিংসতা হোক, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ুক। তাই জীবন ঝুঁকি নিয়ে আমরা নিজেরাই আমাদের উপজেলায় পৌঁছেছি।”
তিনি অভিযোগ করেন, “২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে ত্যাগীদের রক্তের বিনিময়ে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তার সুবিধা নিচ্ছেন বিএনপি নেতা হাসান মামুনের মতো পরিবারের লোকজন। আমি বিষয়টি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছি। তাঁরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন—এখন দেখার পালা।”
গণঅধিকার পরিষদ সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই দল ভেসে আসা নয়, বহু লড়াই-সংগ্রামের ফসল। আমরা ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সংগ্রাম করছি। একসময় ফ্যাসিস্ট সরকারকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিলাম, প্রয়োজনে আবারও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামব।”
এদিকে, হাসান মামুনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে গলাচিপা ও দশমিনার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়, দোকান ও বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ওই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন ১৩ জুন শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১৫ জুন রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআলো/সবুজ