গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প–নেতানিয়াহু বৈঠক
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: চলতি বছরে চতুর্থবারের মতো বৈঠকে বসেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু। দীর্ঘ সংঘাতে বিপর্যস্ত গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র–ইসরায়েল সম্পর্কের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এ বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র–ইসরায়েল সম্পর্ককে নতুন পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারে।
বৈঠকের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বড় অক্ষরে লেখা এক পোস্টে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, মধ্যপ্রাচ্যে আসছে “মহান পরিবর্তন”।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের এখনই অবসান হওয়া উচিত। অন্যদিকে নেতানিয়াহু মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে জানান, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমন্বয় করেই তারা যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে উপস্থাপিত হয় ২১ দফার একটি ‘ডে-আফটার’ পরিকল্পনা।
বিভিন্ন ইসরায়েলি ও পশ্চিমা গণমাধ্যমের তথ্যমতে, এতে বলা হয়েছে—হামাসকে দুই দিনের মধ্যে অবশিষ্ট ৪৮ জন বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, লড়াই ত্যাগ বা আত্মসমর্পণ করলে যোদ্ধাদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হতে পারে, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ বাড়ানো হবে, কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে।
তবে হামাস জানিয়েছে, তারা মিশর বা কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে নতুন কোনো প্রস্তাব পায়নি। যদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আসে, তারা তা বিবেচনা করবে।
এদিকে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, ইসরায়েলি স্থল ও বিমান হামলার তীব্রতায় গাজা শহরে দুই ইসরায়েলি বন্দিকে ধরে রাখা দলগুলোর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই ডজনখানেক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হচ্ছেন। অবকাঠামো ধ্বংস এবং মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হচ্ছে।
বিআলো/শিলি