গাজা সিটিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ‘নজিরবিহীনশক্তি’ ব্যবহার ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজার বৃহত্তম শহর গাজা সিটিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী নজিরবিহীন শক্তি প্রয়োগ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেনারা শহরে স্থল অভিযান চালাচ্ছে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের ওপর আক্রমণের পর ইসরাইল বিমান ও ট্যাঙ্ক হামলার মাধ্যমে গাজা শহর দখলের চেষ্টা করছে। এ সময় পশ্চিমা কয়েকটি সরকার আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সও রয়েছে।
সেনাবাহিনী মঙ্গলবার থেকে স্থল অভিযান শুরু করেছে এবং কয়েকদিন ধরে বাসিন্দাদের দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। তবে অনেক ফিলিস্তিনি জানাচ্ছে, তারা ব্যয়বহুল যাত্রার সামর্থ্য রাখে না এবং কোথায় যাবে তা জানে না। পশ্চিম গাজা সিটির বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি খালেদ আল-মাজদালাভি জানিয়েছেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরে আমরা দক্ষিণে পালানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা নেই।’
জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, গাজা সিটি ও আশেপাশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করছে। আগস্টের শেষের দিকে ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আর হামাসের অধীনে পরিচালিত উদ্ধার বাহিনী ৪ লাখ ৫০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টা আগে খুলে দেওয়া অস্থায়ী বাস্তুচ্যুতি পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন দক্ষিণে যাওয়ার একমাত্র পথ হল আল-রাশিদ সড়ক, যা ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত।
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা আভিচায় আদ্রাই বলেন, ‘হামাস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন শক্তি প্রয়োগ করা হবে। এই সুযোগে দক্ষিণের মানবিক এলাকায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিআলো/এফএইচএস