গাজী মুনছুর আজিজের নতুন ভ্রমণবই ‘নান্দনিক নেপাল’: হিমালয়ের হৃদয়ে সৌন্দর্যের এক যাত্রা
বাংলাদেশি অভিযাত্রী-লেখকের চোখে নেপালের অজানা রূপ
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত হয়েছে লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক গাজী মুনছুর আজিজের নতুন ভ্রমণবই ‘নান্দনিক নেপাল’। বইটি প্রকাশ করেছে বেঙ্গলবুকস। প্রচ্ছদ ও বইনকশা করেছেন আজহার ফরহাদ।
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপাল—প্রকৃতির এক বিস্ময়, যার প্রতিটি দৃশ্য যেন এক অনবদ্য কবিতা। মাউন্ট এভারেস্টের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এই দেশের গর্ব, আর প্রতিটি অভিযাত্রীর স্বপ্ন। বরফে মোড়া পর্বতচূড়া, প্রাচীন রাজবংশের স্থাপনা, মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি আর থামেলের জাগ্রত রাত্রি—সব মিলিয়ে ‘নান্দনিক নেপাল’ বইটিতে ফুটে উঠেছে হিমালয়ের সৌন্দর্যের বহুমাত্রিক রূপ।
বইটির প্রতিটি অধ্যায়ে আছে ইতিহাস, ধর্ম, প্রকৃতি ও মানুষের গল্প; সঙ্গে রঙিন আলোকচিত্রে ধরা পড়েছে ভ্রমণের উচ্ছ্বাস। ১১২ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৪২০ টাকা।
চাঁদপুর সদরের নানুপুর গ্রামের সন্তান গাজী মুনছুর আজিজের জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনীমহল গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ মুনছুর গাজী, মা মরিয়ম বেগম। পেশায় সাংবাদিক হলেও তার নেশা ভ্রমণ। সাইকেল অভিযান, নদীতে সাঁতার, পাহাড়ে ট্রেকিং—সবই তার জীবনের অংশ।
তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে— রূপসী বাংলার রূপের খোঁজে, ভ্রমণের দিন, বাংলাদেশ ভ্রমণসঙ্গী, ভুটান দার্জিলিং ও অন্যান্য ভ্রমণ, অনন্য আরব, ফাদার মারিনো রিগন, ৭১-এর খণ্ডচিত্র, অজানা অজন্তা, হজ ও ওমরাহ গাইড, পাখির খোঁজে বাংলাজুড়ে প্রভৃতি। তিনি ছড়াবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ঈদ উৎসব’-এর সম্পাদক।
এভারেস্টজয়ী প্রয়াত বন্ধু সজল খালেদ-এর স্মরণে তিনি প্রতি বছর কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে একক ম্যারাথন আয়োজন করেন। সজলের স্মৃতিতে একাধিকবার এভারেস্ট বেস ক্যাম্প অভিযানে অংশ নিয়েছেন গাজী মুনছুর আজিজ।
“যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই—সবুজ বিশ্ব গড়তে চাই” এই স্লোগান নিয়ে গত ১৩ জুন তিনি ৫,৩৬৪ মিটার উচ্চতায় বেস ক্যাম্পে পৌঁছান।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সদস্য তিনি। পরিবেশ সচেতনতায় গাছ লাগানোসহ বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগেও যুক্ত আছেন। ২০০১ সালে চাঁদপুরে প্রতিষ্ঠা করেন মুনছুর গাজী ফাউন্ডেশন, যার উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি, পাঠাগার পরিচালনা, বৃক্ষরোপণ, বই বিতরণ ও ‘ইলিশ আড্ডা’সহ নানা কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
বিআলো/তুরাগ



