গিনি-বিসাউতে সামরিক অভ্যুত্থান: প্রেসিডেন্ট এমবালো গ্রেপ্তার
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: গিনি-বিসাউয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। সেনারা প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোকে আটক করে নিজেদের হাতে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফার্নান্দো দিয়াস উভয়েই নিজেদের জয়ী দাবি করেন। ভোটের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার আগেই বুধবার সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দেয়।
টেলিভিশনে প্রচারিত এক লিখিত বিবৃতিতে সেনা কর্মকর্তারা নিজেদের ‘উচ্চ সামরিক কমান্ড’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানান, দেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে। তারা ঘোষণা করেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত থাকবে, আকাশ-নৌ-স্থল সীমান্ত বন্ধ থাকবে এবং রাতের কারফিউ বলবৎ থাকবে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট প্যালেস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের কাছে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পরই সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। আটক প্রেসিডেন্ট এমবালো এএফপিকে টেলিফোনে বলেন, “আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। বর্তমানে জেনারেল স্টাফ হেডকোয়ার্টারে রয়েছি।”
প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি প্রধান বিরোধী নেতা ডমিঙ্গোস সিমোয়েস পিরেইরাকেও গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, সেনারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে এবং রাজধানীতে কারফিউ চলছে।
এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান ডেনিস এন’কানহা, যিনি প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই এখন এমবালোকে আটক করেছেন।
১৯৭৪ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই গিনি-বিসাউ বারবার অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি হয়ে আসছে। এবারও বিতর্কিত নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যার পরিণতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ ঘটে। সূত্র: এএফপি
বিআলো/শিলি



