গোপালগঞ্জে এনসিপি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ১১৪ ধারা জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে ব্যাপক সংঘর্ষ, হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসন দণ্ডবিধির ১১৪ ধারা জারি করেছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে শহরের পৌরপার্ক এলাকা সংলগ্ন সড়কে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, এমন অভিযোগ এনসিপির পক্ষ থেকে এসেছে।
হামলার পর পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে সংঘর্ষের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
হামলা থেকে বাঁচতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা-আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম—গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজে আশ্রয় নেন এবং সেখানেই অবস্থান করছেন।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক মাঠে আয়োজিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলাকারীরা সাউন্ড সিস্টেম, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে এবং উপস্থিত এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর শারীরিক হামলা চালায়। ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে বের হলে গাড়িবহরটিও হামলার মুখে পড়ে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও হামলাকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। শহরজুড়ে টহল জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এলাকাজুড়ে ভয়, আতঙ্ক এবং থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১৪ ধারা কার্যকর ঘোষণা করে জনসমাবেশ, মিছিল ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিআলো/এফএইচএস