গোপালগঞ্জ-০১ আসনে স্বতন্ত্র মনোনয়ন ফরম কিনলেন আশরাফুল আলম শিমুল
বাদশাহ মিয়া: গোপালগঞ্জ-০১ (মুকসুদপুর উপজেলা ও কাশিয়ানী উপজেলার অংশবিশেষ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মুকসুদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফুল আলম শিমুল। তাঁর মনোনয়ন কেনার খবরে আসনটির নির্বাচনী সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
আশরাফুল আলম শিমুলের পিতা খায়রুল বাকী মিয়া ১৯৮৫ সালে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। এর ফলে তিনি পুরো উপজেলাজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পিতার সেই সুনাম ও নিজের ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতাকে পুঁজি করে আশরাফুল আলম শিমুল ২০০৯ সালে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ২০১৪ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—এ পর্যন্ত তিনি যে কয়টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, প্রতিটিতেই বিজয়ী হয়েছেন।
এ আসনে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএনপি থেকে সেলিমুজ্জামান সেলিম, এনসিপি থেকে প্রলয় কুমার পাল, আমজনতা দল থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাবির মিয়া, এবি পার্টি থেকে প্রিন্স আল আমিন, জনতা দল থেকে মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে ইমরান হোসেন আফসারী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আশরাফুল আলম শিমুল, এম আনিসুল ইসলাম ও মো. সুজাউদ্দিন অপুসহ মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সাবেক আমির মাওলানা আব্দুর হামিদ মনোনয়ন ফরম নেননি।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর আশরাফুল আলম শিমুল বলেন,
“এই আসনের মানুষ আমার পিতাকে ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসার ধারাবাহিকতায় জনগণ প্রতিটি নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে। তারা আমাদের পরিবারকে ভোট দিতে স্বস্তি বোধ করে। আমরাও মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি। পদ্মা সেতুর কারণে গোপালগঞ্জ-০১ আসন এখন ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি নির্বাচিত হলে এখানে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো, এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নত করবো এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখবো।”
উল্লেখ্য, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে গোপালগঞ্জ-০১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আশরাফুল আলম শিমুলের পিতা খায়রুল বাকী মিয়া। পিতার মতোই এলাকায় জনপ্রিয়তা ধরে রেখে উত্তরসূরি হিসেবেও আশরাফুল আলম শিমুল একজন শক্তিশালী ও পরিচিত মুখ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
বিআলো/তুরাগ



