ঘরমুখো মানুষের ঢল, চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে
জেলা করেসপন্ডেন্ট : পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম। ঈদ উপলক্ষে এই নৌপথে ঘরমুখো মানুষের চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ লক্ষ্য করা যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ সূত্র বলছে, পদ্মা সেতু চালুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ সহজ ও দ্রুত হওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। তবে জাতীয় উৎসব ও ছুটির সময়, বিশেষ করে ঈদের সময়, ফের ঘাটগুলোতে চাপ বাড়ে।
পূর্বের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি থাকায় গত কয়েকটি ঈদে যাত্রীদের তেমন কোনো ভোগান্তি হয়নি। এবারও ঈদে নদীপথে নির্বিঘ্ন পারাপারের আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় যাত্রা নিশ্চিত করতে ছোট-বড় ২২টি ফেরি সহো যাত্রী পারাপারের ৩২টি লঞ্চও চলাচল করছে।
মাদারীপুরগামী এক যাত্রী বলেন, সকালে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছেছি। এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তি হয়নি। বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছি—এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।
আয়মান নামে একজন নারী যাত্রী বলেন, আমি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। ছুটি হওয়ায় গ্রামে যাচ্ছি পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে। আগের তুলনায় রাস্তার অবস্থা ভালো, ভাড়াও অতিরিক্ত দিতে হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি থাকায় ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন স্বাচ্ছন্দ্যে নদী পার হতে পারছে। আশা করি, গত বছরের মতো এবারও যাত্রীরা কোনো ভোগান্তি ছাড়াই নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।
বিআলো/সবুজ