চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে যুবদল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন
মীর তোফায়েল হোসেন, রাজশাহী: রাজশাহীতে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। শনিবার সকালে নগরীর মালোপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মামলাটি মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানি সুমন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করায় আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই মামলার মূলহোতা গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর রহমান, যিনি একজন প্রতারক ও অর্থ আত্মসাৎকারী।
তিনি দাবি করেন, ২০২৩ সালে আমিনুল ইসলাম নামের একজন ব্যক্তি মোস্তাফিজের প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ফ্ল্যাট বুকিং দিয়ে ২৭ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফ্ল্যাট হস্তান্তর না করে নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ এবং পরবর্তীতে হুমকি-হেনস্থার মাধ্যমে প্রতারণা করেন মোস্তাফিজ। বিষয়টির সমাধানে থানায় একটি আপসনামা হয়, যেখানে মোস্তাফিজ টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তিনি তা না করে উল্টো প্রতিশোধমূলকভাবে যুবদল-ছাত্রদল নেতাদের নামে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মামলার ৫ নম্বর আসামি শাহরিয়ার সুজন তখন কারাগারে এবং ২২ নম্বর আসামি আরিফুল শেখ বনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এরপরও তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। এমনকি মোস্তাফিজ নিজেই একাধিক জায়গায় স্বীকার করেছেন যে, প্রশাসনের চাপেই তাকে মামলা করতে হয়েছে-যার অডিও প্রমাণ রয়েছে।
বক্তারা বলেন, এটি প্রশাসন-পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানি। সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি প্রত্যাহার এবং মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক লেমনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তবে এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বিআলো/এফএইচএস