চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ফরহাদ হত্যার বিচার দাবিতে লাশ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ
জাকির হোসেন বাদশা, মতলব উত্তর: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ফরহাদ জুয়েল (২৭) নামে এক যুবকের হত্যার বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
শনিবার দুপুরে উপজেলার ছেংগারচর বাজারে থানার সামনে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি চলে। এ সময় ‘খুনিদের গ্রেপ্তার করো’, ‘ফরহাদের হত্যার বিচার চাই’, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ — এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে থানার সামনের এলাকা।
বিক্ষুব্ধ স্বজন ও এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রশমিত করতে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে বিচার নিশ্চিতে আশ্বাস দেন।
ফরহাদ জুয়েল উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে। তার স্ত্রী এবং চার বছরের ছেলে আবু সুফিয়ান রয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই সকালে ফরহাদ জুয়েল বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ৫ জুলাই হাইমচর উপজেলার নীলকমল এলাকার মেঘনা নদীতে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে নৌ পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশের ভাষ্য, মরদেহে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মানববন্ধনে নিহতের বাবা মো. আবুল হাশেম বলেন, “আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি, এখন চাই ন্যায়বিচার। দোষীরা যেন কোনোভাবেই রেহাই না পায়।”
নিহতের স্ত্রী সূরবী আক্তার বলেন, “আমার ছোট একটা বাচ্চা আছে, সে এখন পিতাহারা। আমি বিচার চাই—আর কোনো পরিবার যেন এভাবে না ভাঙে।”
মা সুফিয়া বেগম বলেন, “আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা বিচার চাই, যেন কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।”
এএসপি খাইরুল কবির জানান, “হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ত সন্দেহে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে।”
পরে নিহত ফরহাদ জুয়েলের বাবা আবুল হাশেম ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১৫ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
বিআলো/তুরাগ