চীনা প্রযুক্তি ও বিনিয়োগে শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি ও প্রযুক্তিনির্ভর খাতে চীনের ভূমিকা ক্রমবর্ধমান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), স্মার্টফোন, ইলেকট্রিক গাড়ি, গেম শিল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চীনা প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ দেশের অর্থনীতি, উদ্ভাবন ও শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে, শাওমি, অপো, ভিভো, টেনসেন্ট ও বিওয়াইডি বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতকে গতিশীল করছে। বিশেষ করে গেম শিল্পে টেনসেন্টের আগ্রহ, স্মার্টফোনে চীনা ব্র্যান্ডের আধিপত্য এবং ইলেকট্রিক গাড়ি খাতে বিওয়াইডির প্রবেশ বাংলাদেশের প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।
বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বর্তমানে প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার, যেখানে চীন বাংলাদেশের প্রধান আমদানিকারক। ২০২০ সালে চীন বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা ঘোষণা করে, যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন বাজার সৃষ্টি করেছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, চীনের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাংলাদেশের শিল্পায়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা, ডিজিটাল রূপান্তর এবং এআই প্রযুক্তির সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘এআই স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে প্রোগ্রামিং ও কোডিং শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন।
চীনা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে বাংলাদেশে গার্মেন্টস, ইলেকট্রনিক্স, নির্মাণ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নতুন কারখানা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ইপিজেড ও আনোয়ারা এলাকার চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে চীনা বিনিয়োগের পরিধি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশ-চীনের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উৎপাদন ও প্রযুক্তিনির্ভর হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক।
বিআলো/এফএইচএস



