ছোট্টবেলার বন্ধুদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত মানস বন্দ্যোপাধ্যায়
অভি মঈনুদ্দীন: মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গন ও সিনেমার একজন নন্দিত অভিনেতা। যখন দেশে মাত্র একটি টিভি চ্যানেল ছিল সেই সময়কালের নাটকের নায়ক হিসেবে অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু। এরপর বহু নাটকে ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সময়ের ধারাবাহিকতায় এখনও তিনি অভিনয় করছেন বাবা কিংবা ভাইয়ের চরিত্রে। তবে আগের মতো এখন অভিনয়ে খুব বেশি ব্যস্ততা নেই তার। এরইমধ্যে মানসের তার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এরইমধ্যে তার ফরিদপুরের বন্ধুদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সেই প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গেই গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান-১ এর ইউনিমার্টেও ‘চেফস টেবিল’এ আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট্টবেলার বন্ধূদের কাছে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। হয়ে উঠেছিলেন ভীষণ আবেগাপ্লুত।
মানস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার ফরিদপুর থেকে তার বন্ধু মোয়াজ্জেম, জামাল, বারী জামাল, স্বপন, ইকবাল, রফিক, রবি, সেলিমউল্লাহ ও কামু এসেছিলেন। মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘ এরা সবাই ছোটবেলার মানে একেবারে বাচপানকা দোস্ত। আমরা একই স্কুল অর্থাৎ ফরিদপুর জেলা স্কুলে পড়াশুনা করেছি। বহুদিন পরপর সবার সময় হলেই দেখা করি। কিংবা কেউ দেশের বাইরে থেকে এলে সবাই একসাথে হই একটা উপলক্ষকে কেন্দ্র করে। যথারীতি এবারও একত্রিত হয়ে দারুণ ভালোলাগলো সবার। সত্যি বলতে কী ছোট্টবেলার বন্ধুরাইতো প্রকৃত বন্ধু। তারা জীবন থেকে কখনো হারিয়ে যায় না। জীবনের আবেগে, উচ্ছ্বাসে তারা থেকেই যায় জীবনের প্রতিটি সাফল্যে, আনন্দে কিংবা কষ্টে।
তাই আমরা সবাই যখন একত্রিত হই কখন যে আসলে অনেকটা সময় চলে যায় টেরই পাইনা। বন্ধুরা যে যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক-এই প্রার্থনাই করি। আর বিদায় বেলায় একটাই আশা থাকে যেন আবার দেখা হয়।’ দীর্ঘদিন আমেরিকা ছিলেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফিরে তিনি শিহাব শাহীনের সিনেমা ‘তুমি আমি শুধু’তে অভিনয় করেন। আদনান আল রাজীবের নির্দেশনায় ইস্পাহানী চায়ের বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। এরইমধ্যে মো. তৌফিকুল ইসলাম পরিচালিত ‘মিরাকল অব লাভ’ নাটকে স্পর্শিয়ার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই নাটকটি এরইমধ্যে দর্শকের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে।
বিআলো/ইমরান