জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নীতি ও ক্যাম্পাস প্রকল্পে ছাত্রদলের তিন গুরুতর আপত্তি
আবুবকর সম্পদ, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নীতি, আবাসন সুবিধা ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পে “গুরুতর অনিয়ম, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও অস্বচ্ছ সিদ্ধান্তগ্রহণের” অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জবি শাখা)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট পৃথক তিনটি লিখিত নোটিশ জমা দিয়ে সংগঠনটি ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি, পুরান ঢাকার হল নির্মাণ এবং কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পাস প্রকল্প সংক্রান্ত বিস্তারিত আপত্তি ও সুপারিশ নথিভুক্ত করেছে।
ছাত্রদলের দাবি—এই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, গবেষণা কার্যক্রম এবং ছাত্রজীবন দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেছে, “উদাসীনতা ও বিলম্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নকে স্থবির করে দেবে।”
ভর্তি নীতিতে কেবল এমসিকিউ—‘মেধা যাচাই ব্যাহত হবে’
ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র এমসিকিউ পদ্ধতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অনুৎপাদনশীল। তাদের মতে, লিখিত পরীক্ষা শিক্ষার্থীর বিশ্লেষণক্ষমতা, সৃজনশীল চিন্তা ও লিখিত উপস্থাপন দক্ষতার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে— “শিক্ষার্থীর বাস্তব মেধা যাচাই না করে কেবল এমসিকিউর ওপর নির্ভর করলে উজ্জীবিত শিক্ষাগত পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লিখিত মানদণ্ডের অব্যাহতি গ্রহণযোগ্য নয়।”
পুরান ঢাকার আবাসিক হল: ধীর গতিতে কাজ, নেই স্পষ্ট পরিকল্পনা
দ্বিতীয় নোটিশে ছাত্রদল জানায়, পুরান ঢাকার নির্মাণাধীন আবাসিক হল প্রকল্প শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি হলেও কাজের অগ্রগতি অত্যন্ত হতাশাজনক। তাদের অভিযোগ—কাজের গতি ধীর এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা বা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়নি।
সংগঠনটি প্রশাসনকে কাজ শেষ হওয়ার আনুমানিক ও যৌক্তিক সময়সীমা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে।
কেরানীগঞ্জের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প: ‘দীর্ঘসূত্রতা ও অগ্রগতিহীনতা’
তৃতীয় নোটিশে ছাত্রদল কেরানীগঞ্জে নির্মীয়মাণ দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পে ব্যাপক বিলম্বের অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, প্রকল্পের বর্তমান পরিস্থিতি অস্বচ্ছ এবং প্রথম ধাপের কাজ কখন শেষ হবে সে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাচ্ছে না।
তারা প্রশাসনের কাছে কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদন ও প্রকল্পের স্বচ্ছ রূপরেখা দ্রুত প্রকাশের দাবি জানায়।
বিআলো/তুরাগ



