জনগণের মতের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে আওয়ামী লীগের পরিণতি হবে: ড. হেলাল উদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জনগণের মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগের পরিণতি অন্য কেউ এড়াতে পারবে না। তিনি বলেন, যারা শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি, তারাই গণহত্যার বিচারের আগে নির্বাচন চায়।
সোমবার (৩০ জুন) রাতে রাজধানীর বিএম মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীর শাহবাগ পূর্ব থানার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, জামায়াত প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এবং তাদের দুঃখ-কষ্ট ও প্রত্যাশার বাস্তব চিত্র সামনে এনেছে। শহীদদের আত্মত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত না করে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
একটি কার্যকর নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান।
ড. হেলাল বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। আমাদের সাবেক আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মুজাহিদ মন্ত্রী থাকা অবস্থায়ও কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি। জামায়াত চায় একটি বৈষম্যহীন, মানবিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠন করতে।
সমাবেশের প্রধান বক্তা জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুধু শেখ হাসিনার পতন নয়, আধিপত্যবাদ ও পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির কবর রচনা করেছে।
তিনি বলেন, বড় দলের মতো বড় দায়িত্ব নেওয়া উচিত, অথচ অনেক দল এখনো আত্মতৃপ্তির রাজনীতি করছে। কেউ কেউ বিদেশে নিরাপদে থেকে নিজেদের জুলাই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড দাবি করছে, অথচ বাস্তবতায় জনগণ জানে কারা মাঠে ছিল।
তিনি পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে পরিবার নিয়ে পালিয়েছেন, ভবিষ্যতে যারা একই পথে রাজনীতি করে তারাও একই পরিণতির শিকার হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহবাগ পূর্ব থানার আমীর আহসান হাবীব। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য শাহীন আহমেদ খান ও সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন।
বক্তব্য দেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আব্দুর রব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল কাদের, ওবায়দুল্লাহ (পল্টন নাগরিক ফোরাম), বায়তুলমাল সম্পাদক কামরুজ্জামান, অফিস সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, এবং থানা কর্মপরিষদের সদস্য রহমত উল্ল্যা ফরাজী, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, আলী হোসেন সুমন প্রমুখ।
বিআলো/এফএইচএস