জয়পুরহাট রেলস্টেশনে ধাক্কাধাক্কি, যাত্রী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ধস্তাধস্তি
যাত্রীর শার্ট ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে তোলপাড়
ভুক্তভোগীর দাবি: দমনমূলক আচরণের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক
অভিযুক্তের বক্তব্য: ধস্তাধস্তি হয়েছে, তবে টেনে আনি নি
মো. নেওয়াজ মোর্শেদ নোমান, জয়পুরহাট: টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে রেলস্টেশনের এক হেড বুকিং সহকারী যাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে শহরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনের ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপককে। ঘটনা অনুসন্ধান ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ পাবনা যাওয়ার জন্য দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে স্টেশনের কাউন্টারে যান। লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি দুইশ টাকা দেন। কিন্তু খুচরা টাকা না থাকায় হেড বুকিং সহকারী মনিরুল করিম মুন তাকে খুচরা টাকা এনে দেওয়ার তাগিদ দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মনিরুল করিম কাউন্টার থেকে বের হয়ে যাত্রীকে ধাক্কা দেন এবং পরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে স্টেশন মাস্টারের রুম ও কাউন্টার কক্ষে নিয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় আব্দুর রাজ্জাকের শার্টও ছিঁড়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত করতে নিরাপত্তা কর্মীরা এগিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ জানান, “টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে হেড বুকিং সহকারী আমাকে টেনে ঘরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। পরে সাংবাদিকরা আসার পর তিনি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। আমি চাই তার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত হোক এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
অভিযুক্ত হেড বুকিং সহকারী মনিরুল করিম মুন বলেন, “টাকা খুচরা না থাকা নিয়ে কথাকাটাকাটির সময় যাত্রীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে। আমি তাকে টেনে নিয়ে যাইনি। পরে উপস্থিত সবার সামনে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।”
স্টেশন মাস্টার রফিক চৌধুরী বলেন, “কথাকাটাকাটি ও ঠেলাঠেলি হয়েছে। যদি কোনো শারীরিক লাঞ্ছন ঘটে থাকে, তবে তা সরকারি বিধি অনুযায়ী অপরাধ। মুন পরে যাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।”
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”
বিআলো/তুরাগ



