জাতীয় নির্বাচনের আগে এফবিসিসিআই নির্বাচন হওয়া জরুরি: খন্দকার রুহুল আমিন
রিমি সরদার: আগামী ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিইএ) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রক্রিয়ার কারণে ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা খন্দকার রুহুল আমিন।
তিনি জানান, গত নির্বাচনে অনেক ভোটারই নিজেদের প্যানেলের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, বিগত সরকারের কিছু রাজনৈতিক মদদে ভোট না হয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সারাদেশে প্রায় ৮ হাজার ভোটার থাকলেও এবার প্রাথমিকভাবে মাত্র ৫ হাজারের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, যা নিয়েও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে খন্দকার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ পরিচালনা করছেন রুহুল আমিন। সেখানে তিনি শ্রমিকদের জন্য থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা রেখেছেন। তার প্রতিষ্ঠান ‘খন্দকার ফ্যান’ ও অন্যান্য ইলেকট্রিক পণ্য বাংলাদেশেই উৎপাদিত হয়।
সিআইপি খন্দকার রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে ট্রেড পলিটিক্সে সফল ও গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে পরিচিত। এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনে তিনি একাধিকবার সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলেরও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের আগে এফবিসিসিআই নির্বাচন হওয়া এখন বিশেষ জরুরি।”
একজন নির্বাচিত ডিরেক্টর হিসেবে তিনি সদস্য ফি হঠাৎ অপ্রাসঙ্গিকভাবে বৃদ্ধি করার তীব্র সমালোচনা করেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, ব্যাংক ঋণ সুবিধা এবং উন্নয়নের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে তার বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রতি বছর নিজ উদ্যোগে রাজধানীর কাপ্তান বাজার মার্কেটের রুফটপে নারী উদ্যোক্তাদের মেলা আয়োজন করেন খন্দকার রুহুল আমিন। ট্রেড পলিটিক্সের পাশাপাশি তিনি একজন শিল্পমনস্ক মানুষ।
তার বাবার অনুপ্রেরণায় তিনি চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হন। বর্তমানে ‘খন্দকার টি’ বাংলাদেশের চা শিল্পে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নেও তিনি কাজ করছেন।
খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, “রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ করদাতা হলো ব্যবসায়ী সমাজ। অথচ নানা কারণে তারাই প্রায়শই প্রশ্নবিদ্ধ হন। সাধারণ মানুষই সব রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংঘাতের শিকার হন।”
দেশের সাধারণ মানুষ ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার অটুট বন্ধন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের আদর্শ ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের নির্মাণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সিআইপি ও ব্যবসায়ী নেতা খন্দকার রুহুল আমিন।
বিআলো/তুরাগ



