জামালপুরে জাল দলিলে ভূমি আত্মসাতের অভিযোগে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন
জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরে জাল দলিল তৈরি করে শহরের মেডিক্যাল রোডে হযরত আলী মার্কেটের একাংশের ভূমি আত্মসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে ভূমি অফিসের কর্মচারী শাহানা বেগম ও তার স্বামী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
গতকাল শনিবার দুপুরে জামালপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এমনি দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন জমির প্রকৃত মালিক জিলহজ আলী নাদু ও তার পরিবার। জিলহজ আলী নাদু হযরত আলী মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা মৃত হযরত আলীর ছেলে। এসময় ভূমি আত্মসাতের পাঁয়তারাকারী শাহানা বেগম ও তার স্বামী রেজাউল করিমের শাস্তির দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জিলহজ আলী নাদু তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি জামালপুর শহরের মেডিক্যাল রোডের হযরত আলী মার্কেটের শক্তি ঔষধালয় দোকান ঘর ও জমির পৈত্রিক সূত্রে দলিল মূলে মালিক। তিনি আজ পর্যন্ত সেই সম্পত্তি ভোগদখলে আছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত শাহানা বেগম পৌর ভূমি অফিসে চাকরি করার সুবাদে তার স্বামী করিমকে সঙ্গে নিয়ে হযরত আলী মার্কেটের (শক্তি ঔষধালয় দোকান) সেই জমির ভূয়া দলিল তৈরি করে মালিকানা দাবি করছে এবং শাহানা বেগম তার স্বামীর নামে অবৈধভাবে সেই ভূয়া দলিল দিয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হতে নামজারী ও জমা খারিজ করেছে।
জিলহজ আলী নাদু আরও জানান, নালিশী ভূমির ওই অংশ তারা পিতা হযরত আলী বিগত ১৯৬৩ সালে শক্তি ঔষধালয় প্রা: লি: এর কাছে ভাড়া দেয়। যা অদ্যাবধি পর্যন্ত চলমান রয়েছে এবং ঐ দোকান ঘরের জমিটি হযরত আলীর সন্তান কিংবা তার ওয়ারিশরা কেউ বিক্রি করেননি। পরবর্তীতে দোকান ঘরটির পয়েন্ট ৯ শতাংশ জমি তিনি (নাদু) পিতার কাছে থেকে প্রাপ্ত হন এবং তার পিতার মৃত্যুর পর সেই জমিতে তার সাথে দোকান ঘরের চুক্তিপত্র করে শক্তি ঔষধালয় যার ২০৩১ সাল পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভূমি অফিসের কর্মচারী শাহানা বেগম কতিপয় ব্যক্তির যোগসাজশে বিগত ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জালিয়াতি করে একটি ভুয়া দলিল প্রস্তুত করেন এবং সেই জমি তারা স্বামীর রেজাউল করিমের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। একই সাথে ওই জমির নামজারী ও জমা খারিজ থাকা সত্ত্বেও শাহানা বেগম অবৈধভাবে ভুয়া নামজারী ও জমা খারিজ করেন। এসময় ভুক্তভোগী জিলহজ আলী নাদু তার পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান এবং ভূমি আত্মসাতের পাঁয়তারাকারী শাহানা বেগম ও তার স্বামী রেজাউল করিমের যথাযথ শাস্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে শাহানা বেগম সাংবাদিকদের জানান, সে সঠিক পন্থায় প্রকৃত জমির মালিকের কাছ থেকে জমির মালিকানা পেয়ে পরবর্তীতে তার স্বামীর নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। অভিযোগকারী জিলহজ আলী নাদু একাধিকবার এ জমির দলিল বাতিলের মোকদ্দমা করেও সফল হতে না পেরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বিআলো/তুরাগ