জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে মফস্বল সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ১১ আগস্ট সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশন (বিআরজেএফ) আয়োজিত “জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণঅভ্যূত্থানে মফস্বল সাংবাদিকদের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন রাকিব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন কোনো একক সংগঠন বা গোষ্ঠীর নেতৃত্বে হয়নি। গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে এসেছে। ২০২৪ সালে ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ যুক্ত হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করায় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গণআন্দোলনে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।
বিএনপির এই নেতা পিআর পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, “ভোট দিবেন একজনকে, কিন্তু সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন কে-তার নিশ্চয়তা থাকবে না।” সংস্কার বিষয়ে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফায় সকল সংস্কারের রূপরেখা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, সরকারি রেডিও, টেলিভিশন ও বাসসে মূলধারার সাংবাদিকদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বরং বাসসে ‘স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন এবং আগামীতে ক্ষমতায় আসা যে-ই হোক, সাংবাদিকদের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম বলেন, গত ১৬-১৭ বছরে আন্দোলনে ৬৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যূত্থানে প্রাণ হারান ৬ জন। সাংবাদিকরা ঘুষ, দুর্নীতি, খুন-গুমসহ যাদের বিরুদ্ধে লিখেছেন, তাদের দ্বারাই বেশি নির্যাতিত হয়েছেন। তিনি গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সদস্য লায়ন আল আমিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা নূর হোসেন জাহাঙ্গীর, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন, মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ডিইউজের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য এইচ এম আল আমিন, ডিইউজের সদস্য এফ এম রাসেল পাটোয়ারী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সানজিদা আক্তার সবনম, বাংলাদেশ এডিটরস গিল্ডার্স এর সভাপতি বাদল চৌধুরী, সহ-সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ভূঁইয়া মানিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিআলো/এফএইচএস