জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি মামলা চলমান থাকায় জেমকন গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
একইসঙ্গে আদালত তার ২০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ওই সম্পত্তিগুলোর দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন বলে বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
দুদকের পক্ষে আবেদনটি করেন সংস্থার উপসহকারী পরিচালক ইমরান আকন।
আবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে প্রায় ৮০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন, ভোগ ও দখলে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি নিজের, যৌথ এবং প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ২০টি ব্যাংক হিসাবে ৪০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা জমা ও ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। এসব আর্থিক লেনদেনকে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক।
এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা ওই আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে ঢাকা ও পঞ্চগড়ে অবস্থিত ৭ কোটি ২০ লাখ টাকার জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে তার বিনিয়োগের পরিমাণ ৮৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।
দুদক জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার সম্পদ হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারেন—এমন আশঙ্কায় আদালতে আবেদন জানানো হয়। আদালত তদন্তের স্বার্থে সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আদেশ মঞ্জুর করেন।
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজী আনিস আহমেদ এবং তার প্রতিনিধিরা এসব সম্পদের ওপর কোনো ধরনের লেনদেন বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না বলে আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিআলো/এফএইচএস



