জেলেনস্কির ‘কামব্যাক’, ট্রাম্পের অফিসে বসে নিয়ে নিলেন অপমানের বদলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নগরে আগুন লাগলে, দেবালয় এড়ায় না। জ্বলছে ইউক্রেন, তাও আবার একদিন ধরে নয়। সহস্র দিন ধরে। সেই ২০২২ সাল থেকে এক নাগাড়ে শক্তিধর রুশের প্রতিটি হামলাকে ‘হজম’ করছে ইউক্রেন। কখনও আবার করছে পাল্টা হামলা। জলন্ত এই নগরীতে, রাজার ঘরও তো পুড়েছে। তিনি এখন যুদ্ধবিধ্বস্তদের প্রতিনিধি। তাঁর মধ্য়ে কি সাজো-সাজো ভাব মানায়? তাও আবার সাহায্য চাওয়ার সময়?
ফেব্রুয়ারি মাসে যখন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন জেলেনস্কি, এই প্রশ্ন হয়তো তার মনেও উদয় হয়েছিল। আর তারই উত্তর খুঁজতে গিয়ে খুবই সাদামাটা সেনা পোশাক পরে তিনি চলে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে। সেটা যে তাঁর খুব বড় ‘অন্যায়’ হয়ে গিয়েছিল, তা ঘর ভর্তি মিডিয়া কর্মী, ক্যামেরার সামনেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
সেই সময় এক মার্কিন সাংবাদিককে কটাক্ষের সুরে জেলেনস্কিকে প্রশ্ন করতে দেখা যায়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনি কোনও স্য়ুট পরেননি কেন? বর্তমানে আপনি দেশের শীর্ষ প্রশাসনিক ভবনে বসে রয়েছেন এরকম একটা পোশাকে। আপনার কি কোনও স্যুট নেই?” ওই সাংবাদিক যখন অপমানের সুরে তাঁকে বিঁধছেন, সেই সময় একটা রাও কাটেননি ট্রাম্প কিংবা জেডি ভান্স। উল্টে ভাইস প্রেসিডেন্টের মুখে আবার দেখা গিয়েছিল মুচকি হাসি।
এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। ফেব্রুয়ারির তিক্ত স্মৃতি ‘কাটিয়েই’ ভারতীয় সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার মধ্যরাতে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে পৌঁছলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এবারও আলোচনার প্রসঙ্গ এক। রুশ-ইউক্রেন সংঘর্ষবিরতি। দেখা যায়, কালো রঙের একটি স্যুট পরেই ওভাল অফিসে প্রবেশ করেন জেলেনস্কি। যা দেখে প্রশংসা করেন ট্রাম্প। প্রশংসা করেন সেই সাংবাদিকও।
জেলেনস্কির উদ্দেশে ওই মার্কিন সাংবাদিক বলেন, “আপনাকে এই পোশাকে অত্য়ন্ত সুন্দর লাগছে।” তখনই ট্রাম্প বলে ওঠেন, “আমিও ওনাকে সেটাই বলছিলাম। জেলেনস্কিকে সত্যিই চমৎকার দেখতে লাগছে।” অবশ্য, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কিন্তু আগের ‘অপমান’ ভোলেননি। কটাক্ষ নয় বরং কৌতুকে সুরেই তিনি ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেন, “আমি নতুন স্যুট পরে এলেও, আপনি সেই একই স্যুট পরে রয়েছেন।”
বিআলো/ইমরান