টিউলিপের চিঠি পেয়েছেন ড. ইউনূস, তবে আইনি প্রক্রিয়ায় হাঁটবে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ জানিয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তা হাতে পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা একটি চিঠি পেয়েছি।” চিঠির জবাব দেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল বলেন, “চিঠির বিষয়টি আইনি এবং এটি আইনিভাবে সমাধান করা হবে।”
চার দিনের সফরে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরের মধ্যেই হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকালের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক চিঠিটি পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতেই তিনি এই সাক্ষাৎ চান। তার ভাষায়, “আমি আশা করি এই বৈঠকের মাধ্যমে ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করা সম্ভব হবে— যার মাধ্যমে আমার খালা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।”
ব্রিফিংয়ে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপে টিউলিপ সিদ্দিক সদস্য ছিলেন কি না জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, “না, টিউলিপ সিদ্দিক ছিলেন না।”
চিঠি পাঠানোর খবরটি প্রথমে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে আসে গত রোববার, প্রধান উপদেষ্টার সফরের একদিন আগে। সেদিন প্রেস সচিব জানিয়েছিলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত তার কোনো চিঠি হাতে পাইনি।” একই বক্তব্য তিনি নিজের ফেইসবুক পেজেও প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে লেবার পার্টির সংসদ সদস্য। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মুখে তিনি গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
তার খালা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মানবতাবিরোধী অপরাধ ও দুর্নীতির মামলাগুলো নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই মামলাগুলোর কিছুতে টিউলিপের নামও এসেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিআলো/শিলি