ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫: বাংলাদেশের ডিজিটাল সাংবাদিকতার শ্রেষ্ঠদের উজ্জ্বল স্বীকৃতি
৩০ জন সাংবাদিক ও কনটেন্ট নির্মাতার হাতে সম্মাননা তুলে দিলো আয়োজকরা
হৃদয় খান: প্রচলিত সাংবাদিকতার সীমানা ছাড়িয়ে দায়িত্বশীল ডিজিটাল সংবাদচর্চার স্বীকৃতিতে আলো ছড়াল “ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫”—যেখানে উদযাপিত হলো কৃতিত্ব, নিষ্ঠা ও ইতিবাচক প্রভাব। ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (DMF)-এর এই উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন DMF-এর সাধারণ সম্পাদক ও দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজার রায়হান রবিন। তিনি জানান, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল সাংবাদিকতার নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা, প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পেশাদারিত্বের মান আরও শক্তিশালী করা।
DMF-এর সভাপতি ও দ্য বাংলাদেশ টাইমস-এর ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সাংবাদিকতা পেশাকে আরও শক্তিশালী করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল মিডিয়ার সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে এই অ্যাওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন, এই স্বীকৃতি প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা সমাজের কল্যাণে আরও দায়িত্বশীলতা ও উদ্ভাবনমূলক কাজ করবেন।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ডা. তৃণা ইসলাম (হেড অব অপারেশনস, দ্য বিজনেস ডেইলি) এবং ফয়সাল তিতুমীর (সিনিয়র প্রেজেন্টার, যমুনা টেলিভিশন)। তাঁদের প্রাণবন্ত উপস্থাপনা পুরো অনুষ্ঠানকে করে তোলে আরও উপভোগ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জনাব শফিকুল আলম। এসময় তিনি বলেন, “ডিজিটাল মিডিয়ায় দেখেশুনে ফটো কার্ড দেওয়া উচিত।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ফয়েজ আহমেদ, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া ও শিল্পখাতের প্রভাবশালী অতিথিরাও অংশ নেন, যারা ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে এই আয়োজনকে মর্যাদার উচ্চতায় পৌঁছে দেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম ইতোমধ্যেই অনলাইন, টেলিভিশন ও প্রিন্ট সাংবাদিকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ, উদ্ভাবন ও সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী ডিজিটাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করে দেশের মিডিয়া ইকোসিস্টেমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় সম্পাদক ও ডিজিটাল নেতৃত্বের সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড নির্বাচিত করেন বিভিন্ন শাখায় সেরা কৃতিত্ব অর্জনকারীদের। মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিং, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, পরিবেশ ও প্রযুক্তি, মফস্বল ও প্রবাস সাংবাদিকতা, সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিবিলিটি, মৌলিক সৃষ্টিকর্মসহ মোট বহু পেশাদারি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়াও মানবিক উদ্যোগ, ডিজিটাল উদ্ভাবন, কর্পোরেট স্কিল ডেভেলপমেন্ট, শিক্ষায় যুবসম্পৃক্ততা, শিল্প ও কনটেন্ট ক্রিয়েশনসহ বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিতে জুরি স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়, যা মিডিয়া শিল্পের বাইরেও বাংলাদেশে পরিবর্তনের নেপথ্যের প্রকৃত নায়কদের সামনে নিয়ে আসে।
এই সম্মাননায় DMF আবারও প্রমাণ করেছে— বাংলাদেশের সাংবাদিকতা আজ আর শুধুই সংবাদ পরিবেশনা নয়; বরং প্রযুক্তি, সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার শক্তিশালী সমন্বয়ে সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি।
বিআলো/তুরাগ



