• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    ডেমরায় বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

     dailybangla 
    01st May 2025 5:59 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    আমিনুল ইসলাম: বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ নং ২২০৯ এর অন্তর্ভুক্ত রাজধানীর ডেমরা থানা কমিটির পক্ষ থেকে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এতে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের ডেমরা থানার কমিটির সভাপতি মোঃ ইউনুস হাওলাদার। উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ মিয়া।

    মিছিলটি আজ ১ মে সকাল ৯ ঘটিকায় ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন এর ৬৮ নং ওয়ার্ডের টেংরা, সারুলিয়া, থেকে শুরু হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার গিয়ে র‌্যালিটি শেষ হয়।

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ডেমরা থানার কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত র‌্যালি ও সমাবেশে প্রায় দুই শতাধিক নির্মাণ শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন, এদের মধ্যে মোঃ শাহীন, মোঃ আব্বাস, মোঃ জহির, মোঃ জামাল, মোঃ চাঁন মিয়া, মোঃ ইমরান আলী (স্বপন), মোঃ সাত্তার, মোঃ রাকিব হোসেন,মোঃ রিপন হোসেন, মোঃ মমিন হোসেন, মোঃ নিরব হোসেন, মোঃ শাহ আলম, মোঃ হেলাল মিয়া প্রমুখ ।

    আরো উপস্থিত ছিলেন নূর হোসেন, মোঃ আব্দুল মানান্না মিয়া, মোঃ কালাম, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ কামাল, মোঃ নুর মোহাম্মদ, মুখলেসুর রহমান পিন্টু, মোঃ সেলিম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোসাঃ রোকেয়া বেগম, মোঃ হালিম, মোঃ ইউসুফ, মোঃ রফিক, মোঃ আরিফ, মোঃ মনিরুল, মোঃ ইরশাদ, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ নাজমুল অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন: বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের ডেমরা থানার কমিটির মোঃ আব্দুল মজিদ (মোল্লা)।

    বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের ডেমরা থানার কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আল আমিন বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নির্মাণ কাজ করি। বহুতল ভবন, অফিস-আদালত, বাসস্থান, রাস্তাঘাট, কালভার্ট , ব্রিজ ইত্যাদি রং, গ্রীল, টাইলস, সেনেটারী, দরজা-জানালা, থাই-সহ বিভিন্ন প্রকার নির্মাণ কাজ করে থাকি। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, কাগজে কলমে আমরা ৩৫ লক্ষ পরিবার,সরকারিভাবে আমরা কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পাই না।

    তাই আমাদের নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি, ( ১ )২০০৬ সালের শ্রমিক আইন অনুযায়ী কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে আহত বা নিহত হলে, ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য ছিলো, এখন কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে আহত বা নিহত হলে, তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১০-১৫ লক্ষ টাকা ধার্য করতে হবে( ২) বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে হবে (৩) নদী ভাঙ্গা দূর্যোগে শ্রমিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে( ৪ ) প্রত্যেক শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করতে হবে(৫)রেশন ব্যবস্থায় প্রতি শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে (৬ ) বর্তমান দ্রব্যমূল্য বাজার হিসাবে শতকরা ৩০% কাজের মজুরী বাড়াতে হবে ( ৭ ) সরকারি শ্রমিকদের সাধারন ছুটি ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৬৫ দিন, প্রাইভেট কোম্পানির শ্রমিকের সাধারন ছুটি ১০৪ দিন।

    এখানে সরকারি ও বেসরকারি দুই শ্রমিকই বছরে ২টি বোনাস পায়। আমরা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কোনো সাধারন ছুটি পাইনা। তাই আমাদের বছরে ৫২ দিনের সাধারন ছুটির ব্যবস্থা করা হোক ( ৮ ) নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে প্রায় সময় আমাদের রড, সিমেন্ট, রং সহ রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত পণ্য দিয়ে কাজ করে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তখন আমরা সরকারি কোনো সহযোগিতা পাইনা। তাই আমাদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

    চাঁদাবাজি বন্ধের নিশ্চয়তা দিতে হবে( ৯) প্রতি শ্রমিকের নির্মাণ কর্মস্থলে সেফটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে(১০) প্রবাসী নির্মাণ শ্রমিকদের বিদেশে যাতায়াত ব্যবস্থায় স্বল্প পরিমান খরচ নির্ধারন করতে হবে(১১)প্রবাসী শ্রমিক যারা কর্মস্থলে নির্যাতিত হচ্ছে তাদের সহযোগিতা দিয়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে(১২)প্রতি খাতের শ্রমিকদের মতো, নির্মাণ শ্রমিকদের জন্যও বাজেট তৈরি করে শিল্প খাত হিসেবে বাংলাদেশে নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনকে যুক্ত করতে হবে।

    বিআলো/তুরাগ

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930