তমদ্দুন মজলিসের আলোচনায় বক্তাগণ: বিশ্বনবীর আদর্শই মানবতার পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, অশান্ত ও বিক্ষুব্ধ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শের বিকল্প নেই। তাঁরা বলেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা এবং মহানবী (সা.) সমগ্র মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। অমুসলিম মনীষীরাও স্বীকার করেছেন, নবীজির আদর্শ অনুসরণেই বিশ্বব্যাপী সংকট উত্তরণের পথ নিহিত। কিন্তু দুঃখজনক হলো—আজকের মুসলিম বিশ্বই নবীর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে দুর্দশায় নিপতিত।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পেছনেও বিশ্বনবীর আদর্শে বিশ্বাসী মানুষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পাকিস্তান ভাগের পর সাংস্কৃতিক বিকাশের কেন্দ্র হিসেবে তমদ্দুন মজলিস গড়ে ওঠে এবং ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি করে। সে পথ ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। তাই তমদ্দুন মজলিসকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সংগঠন বলা যায়। পাশাপাশি সংগঠনটি যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করে আধুনিক শিক্ষিত সমাজেও ইসলামী জীবনদর্শনের স্বপক্ষে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
সভায় বক্তারা বর্তমান সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে তমদ্দুন মজলিসের আদর্শে ঐক্যবদ্ধ অগ্রযাত্রার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত মনীষী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর, বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী, সাবেক সচিব আ. জ. ম. শামসুল আলম ও সাবেক সম্পাদক শাহাবুদ্দীন খানের কর্ম ও অবদানের ওপর আলোচনা হয় এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি বিশিষ্ট গবেষক ও সাবেক কূটনীতিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইবরাহীম, অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম, সাংবাদিক মোবায়েদুর রহমান, ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ একরামুল ইসলাম, মেজর (অব.) জামিল আহমেদ, অধ্যাপক ড. এম আক্তারুজ্জামান ও শাহ সিদ্দিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে তমদ্দুন মজলিস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিআলো/এফএইচএস