তিস্তা পাড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনে উৎসবমুখর পরিবেশ
সজীব আলম, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ থেকে আবারও দেখা মিলছে মহিমান্বিত কাঞ্চনজঙ্ঘার। টানা কয়েকদিনের মেঘলা আকাশ কেটে গিয়ে এখন মেঘমুক্ত নীল আকাশে ভেসে উঠেছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গটির অপূর্ব রূপ। এই বিরল দৃশ্য একনজর দেখতে প্রতিদিনই তিস্তাপাড়ে ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দিগন্তজোড়া সাদা রূপালী চূড়ায় ঝলমল করছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ আবার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ছুটে যাচ্ছেন দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প- হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ছে অসংখ্য ছবি ও ভিডিও, ফলে পুরো জেলায় তৈরি হয়েছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
স্থানীয় দর্শনার্থী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, “১০ কিলোমিটার দূর থেকে সকালে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেরেছি। মনে হয়েছে, সাদা বরফে মোড়া কোনো স্বপ্নের পাহাড় চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এমন দৃশ্য দেখতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। সবাইকে আহ্বান জানাই- তিস্তা বেড়াতে আসুন, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখুন।”

প্রকৃতিপ্রেমী আর. এম. রিমন বলেন, “শীতের এই সময়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য তিস্তাপাড়ের সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে তিস্তা ব্যারেজকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।”
ভূগোলবিদদের মতে, কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমালয়ের পূর্বাংশে নেপাল ও ভারতের সিকিম রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত। এর উচ্চতা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার (২৮ হাজার ১৬৯ ফুট)। তিস্তা ব্যারেজ থেকে শৃঙ্গটির দূরত্ব তুলনামূলক কম হওয়ায় আকাশ পরিষ্কার থাকলে প্রায়ই এর ঝলমলে সৌন্দর্য দেখা যায়।
শীতের আগমনী বার্তায় উত্তর আকাশে ভেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। আর সেই সৌন্দর্য উপভোগে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ এখন উত্তরাঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে।
বিআলো/শিলি



