তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়: আগাম খাদ্য সুরক্ষায় নামল সুইডেন
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি যে কোনো সময় বৈশ্বিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে- এমন আশঙ্কায় আগাম খাদ্য নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিচ্ছে সুইডেন। দেশটির সরকার নাগরিকদের জন্য যুদ্ধকালীন খাদ্য মজুত প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিকের দৈনিক ক্যালরি চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
বিশ্ব রাজনীতির অস্থিতিশীলতা ও রুশ বাহিনীর ইউক্রেনে অগ্রগতি নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউরোপে। এই পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা মাথায় রেখে খাদ্য মজুতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডেন সরকার।
সুইডেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বোর্ড অব এগ্রিকালচার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বর্তমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা দ্রুত ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আগাম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রকল্পটির প্রাথমিক বাজেট ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশজুড়ে স্থাপন করা হবে নতুন খাদ্য গুদাম, যেখানে শস্য ও প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করা হবে। প্রতিটি নাগরিক যেন সম্ভাব্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন অন্তত ৩ হাজার ক্যালরি পরিমাণ খাদ্য পায়, সে লক্ষ্যেই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড ঘোষণা দিয়েছে, আগামী মাস থেকে নাগরিকদের যুদ্ধকালীন জীবনযাপন ও দৈনন্দিন কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি-কে বলেছেন, “পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া-বিরোধী আতঙ্কে ভুগছে। খাদ্য মজুত কিংবা নাগরিক প্রশিক্ষণের এই আয়োজন সেই ভীতিরই অংশ।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপে যুদ্ধের আশঙ্কা বাস্তবে পরিণত হোক বা না হোক, সুইডেনের এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে- বিশ্ব এখন এক নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতায় প্রবেশ করেছে।
বিআলো/শিলি



