থাই প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সাময়িক বরখাস্ত, জোট সরকার সংকটে
নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দেশটির সংবিধান আদালত। সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হলে আদালত এ সিদ্ধান্ত নেয়।
ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপটিতে পেতোংতার্ন হুন সেনকে “চাচা” বলে সম্বোধন করেন এবং এক থাই সামরিক কর্মকর্তার সমালোচনা করেন। অডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিরুদ্ধে অপসারণ চেয়ে একটি পিটিশন আদালতে জমা পড়ে, যা এখন বিচারাধীন।
এই পরিস্থিতিতে পেতোংতার্ন হতে যাচ্ছেন শিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য যিনি মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই পদচ্যুত হচ্ছেন। গত দুই দশক ধরে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে এই পরিবারটি একটি প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছে।
সাত বিচারকের মধ্যে সাতজনই তার সাময়িক বরখাস্তের পক্ষে রায় দেন, দুজন বিপক্ষে ভোট দেন। আদালত পেতোংতার্নকে নিজ পক্ষে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। এ সময় দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী। তবে, সরকার থেকে পুরোপুরি বাদ পড়ছেন না পেতোংতার্ন। সম্প্রতি মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের ফলে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ আগে পেতোংতার্নের নেতৃত্বাধীন জোট থেকে তাদের এক প্রধান রক্ষণশীল মিত্র বেরিয়ে যাওয়ায় সরকারের সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অডিও বিতর্ক নিয়ে পেতোংতার্ন বলেন, আমি দুঃখিত, তবে আমার কথোপকথনের উদ্দেশ্য ছিল শতভাগ জাতীয় স্বার্থে। তিনি জানান, হুন সেনের সঙ্গে আলোচনা সীমান্ত পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত বিরোধ বহু পুরোনো। তবে গত মে মাসে কম্বোডিয়ার এক সৈন্য নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিআলো/এফএইচএস