দর্শক মাতাচ্ছে আহমেদ সাজুর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মৃত্যুদূত’
অ্যাকশন, কাহিনি ও অভিনয়ে বাজিমাত করলেন তরুণ তারকা সাজু
বিনোদন প্রতিবেদক: বাংলাদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জগতে নতুন আলো ফেলেছে ‘মৃত্যুদূত’। এ প্রজন্মের মেধাবী অভিনেতা আহমেদ সাজু তার তীক্ষ্ণ অ্যাকশন, গভীর সংলাপ ও প্রাণবন্ত উপস্থিতির মাধ্যমে দর্শক হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। মুক্তির পর থেকেই চলচ্চিত্রটি অনলাইনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে— ইউটিউব ও ফেসবুকজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রে ‘মৃত্যুদূত’।
সিরাজগঞ্জের গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে শুটিং, গল্পে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই
পুরো চলচ্চিত্রটির শুটিং হয়েছে সিরাজগঞ্জের মনোরম গ্রামীণ পরিবেশে, যেখানে বাস্তব জীবনের নানা অন্যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানুষের প্রতিরোধের গল্প ফুটে উঠেছে।
পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার সোহানূর রহমান গল্পটিকে গড়ে তুলেছেন এক নায়কোচিত সংগ্রামের কাহিনি হিসেবে— যেখানে সাধারণ এক যুবক অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে হয়ে ওঠে সমাজের রক্ষক, ‘মৃত্যুদূত’।
চলচ্চিত্রে আহমেদ সাজুর সঙ্গে অভিনয় করেছেন লিটু করিম, উল্কা, রাজসহ একঝাঁক তরুণ শিল্পী। তাদের সমন্বিত পারফরম্যান্সে ছবিটি পেয়েছে একটি বাস্তব ও ছোঁয়াযুক্ত রূপ।
সাজুর দুর্দান্ত অ্যাকশন দৃশ্যেই দর্শকদের উচ্ছ্বাস
প্রকাশের পর থেকেই দর্শকরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন আহমেদ সাজুকে। তার নিখুঁত অ্যাকশন দৃশ্য, সংলাপের তীব্রতা এবং শরীরী ভাষা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন “এমন বাস্তবধর্মী অ্যাকশন অনেক দিন পর দেখলাম!” আরেকজন লিখেছেন, “সাজুর চোখের এক্সপ্রেশনেই আছে নায়কের দৃঢ়তা।”
সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে ‘মৃত্যুদূত’
চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ‘আহমেদ সাজু ড্রামা’ ইউটিউব চ্যানেল ও ‘Ahmed Saju’s Creation’ ফেসবুক পেজে। মুক্তির কয়েক দিনের মধ্যেই ভিডিওটি হাজার হাজার ভিউ, শেয়ার ও মন্তব্য পায়।
দর্শকপ্রিয়তার এমন উত্থান দেখে অনেকেই বলছেন— সাজু হচ্ছেন নতুন প্রজন্মের অ্যাকশন হিরো, যিনি বাস্তব গল্পের সঙ্গে নায়কোচিত তেজ মিশিয়ে দর্শককে টানতে জানেন।
🎥 ‘মৃত্যুদূত ২’-এর ঘোষণা
পরিচালক সোহানূর রহমান জানালেন, দর্শকের ভালোবাসা ও প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি ইতোমধ্যে পরিকল্পনা শুরু করেছেন ‘মৃত্যুদূত ২’ নির্মাণের।
তার ভাষায়, “দর্শকদের ভালোবাসা আমাদের অনুপ্রেরণা। সিক্যুয়েলটিতে থাকবে আরও গভীর গল্প, আরও টানটান অ্যাকশন আর নতুন কিছু চমক।”

সাজুর অনুভূতি: “এটাই আমার নতুন যাত্রার শুরু”
নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে আহমেদ সাজু বলেন, “স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মৃত্যুদূত’ আমার জীবনের এক বিশেষ অধ্যায়। এখানে আমি চরিত্রের গভীরে গিয়ে কাজ করেছি। দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি, এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি চাই, মানুষ ‘মৃত্যুদূত’ দেখে ভাবুক— এখনো ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো মানুষ আছে, যারা ভয় পায় না।”
নতুন ধারায় বাংলা অ্যাকশন সিনেমার উত্থান
‘মৃত্যুদূত’ প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশে মানসম্পন্ন স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যাকশন কনটেন্টের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
এতে গল্প, পরিচালনা ও অভিনয়ের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এমন এক চলচ্চিত্র, যা শুধু বিনোদন নয়— সমাজের প্রতি বার্তা দেয়।
চলচ্চিত্রপ্রেমীরা বলছেন, ‘মৃত্যুদূত’ শুধু একটি শর্ট ফিল্ম নয়, বরং এটি তরুণ নির্মাতা ও অভিনেতাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।
তরুণদের অনুপ্রেরণায় ভরপুর, ন্যায়ের আহ্বানে গড়া এই চলচ্চিত্রে আহমেদ সাজু যেন হয়ে উঠেছেন সময়ের অ্যাকশন আইকন — যিনি সাহস, ন্যায় ও লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
বিআলো/তুরাগ