দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবারও পুরো পথে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে। ফার্মগেট (খামারবাড়ি) এলাকায় মেট্রো লাইনের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু ও অবকাঠামোগত ক্ষতির পর সংস্কার কাজের জন্য মেট্রোরেল আংশিকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল পুনরায় চালুর ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, সকাল ১১টা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে মেট্রোরেল সেবা চালু হয়েছে এবং সাময়িক ভোগান্তির জন্য কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ডিএমটিসিএলের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক রেজাউর রহমান আকন্দ জানান, “দুর্ঘটনার পর আগারগাঁও থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সকালে ট্রায়াল রান শেষে বেলা ১১টা থেকে পুরো পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।”
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফার্মগেটের খামারবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেল পিলারের ওপর থেকে ভারী বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে যায়। এতে আবুল কালাম (৩৫) নামের এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং পাশের ফুটপাতের একটি চায়ের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। পরে সন্ধ্যায় শাহবাগ-মতিঝিল অংশও চালু করা হয়। তবে ফার্মগেটের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কারকাজ চলায় আজ সকাল পর্যন্ত ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল, তবে সেবার কোনো প্রাণহানি হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সেতু বা উড়াল সেতুর সংযোগস্থলে কম্পন রোধে ইলাস্টোমেরিক বিয়ারিং প্যাড বসানো হয়। নিওপ্রিন বা প্রাকৃতিক রাবার দিয়ে তৈরি এই প্যাডের ভেতরে একাধিক স্তরে স্টিলের কাঠামো থাকে। এগুলো অত্যন্ত ভারী এবং স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
এ ঘটনায় নিহত আবুল কালামের পরিবারকে সরকার থেকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান এবং পরিবারের একজনকে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
বিআলো/শিলি



