দুনিয়া-আখিরাতের সেরা দোয়া: নবীর প্রিয় প্রার্থনা
বিআলো ডেস্ক: মানব জীবনে দোয়া এক অবলম্বন ও শক্তির উৎস। তবে কিছু দোয়া শুধু প্রার্থনা নয়, বরং জীবন পরিচালনার দিকনির্দেশনা। ইসলামের ইতিহাসে এমনই একটি দোয়া রয়েছে যা রাসুলুল্লাহ (সা.) সবচেয়ে বেশি করতেন এবং সাহাবিদেরও বেশি পড়তে উৎসাহ দিতেন। সেই দোয়াটি হলো-
بَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةًۭ وَفِي ٱلْآخِرَةِ حَسَنَةًۭ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ
অর্থ: হে আমাদের রব, আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দিন, আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। (সূরা বাকারা: ২০১; সহিহ বুখারি: ৬৩৮৯)
ধর্মবিশারদদের মতে, এই দোয়া শুধু পাপ থেকে মুক্তির আবেদন নয়, বরং মানবজীবনের দুই পর্ব- দুনিয়া ও আখিরাত- দুইয়েরই কল্যাণ কামনার পূর্ণাঙ্গ রূপ।
দোয়ার কারণ: ভারসাম্যপূর্ণ জীবনদর্শন-
ইসলাম কেবল আধ্যাত্মিক জীবন নয়, বরং বাস্তব জীবনেও সফলতার নির্দেশ দেয়। নবীজি (সা.) এই দোয়াকে বেশি গুরুত্ব দিতেন কারণ এতে জাগতিক কল্যাণের পাশাপাশি চিরন্তন মুক্তির আবেদন রয়েছে।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.) এমন দোয়া পছন্দ করতেন যাতে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ একত্রে থাকে। (আবু দাউদ ১৪৮২)
মুসলমানদের জন্য শিক্ষা:
ইসলাম দুনিয়া ত্যাগের ধর্ম নয়। দায়িত্ব পালন, পরিবারকে ভালো রাখা, হালাল উপার্জন ও সমাজে অবদান- সবই ইবাদত হিসেবে গণ্য। তাই দোয়া ও জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছেন নবী (সা.)।
এক হাদিসে বর্ণিত আছে, এক অসুস্থ ব্যক্তি দুনিয়াতে শাস্তি প্রার্থনা করলে নবী (সা.) তাকে সেই দোয়া থেকে বিরত করে এই দোয়াটিই পড়ার নির্দেশ দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯৪১)
আলেমরা বলেন, বর্তমান ব্যস্ততা ও চ্যালেঞ্জপূর্ণ যুগে এই দোয়া আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ এটি একদিকে দুনিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, অন্যদিকে আখিরাতের মুক্তি এনে দেয়।
ধর্মীয় শিক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিনের নামাজ, দোয়া ও প্রার্থনায় এই দোয়াটি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত- যাতে জীবন হয় শান্তিময়, আখিরাত হয় মুক্তিময়।
বিআলো/শিলি



