দেবিদ্বারে ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত রুবেলের সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণ
মো. ফখরুল ইসলাম সাগর, দেবিদ্বার (কুমিল্লা) দেবিদ্বারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলে গুলিতে নিহত রুবেলের সন্তানের দায়িত্ব নিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী।
গতকাল মঙ্গলবার দুপরে নেতাকর্মীরা হাসপাতালে গিয়ে নিহত রুবেলের পুত্র সন্তানের খোঁজ খবর নিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ভিপি শাহীন, দেবিদ্বার উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মনির নিজামী, সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল হাই কায়সার ও মো. ফারুক, পৌর যুবদলের সভাপতি মো. শাহ্ জামান মুন্সী, সেচ্ছাসেবক দল মুসা সরকার প্রমুখ।
জানা যায়, আবদুর রাজ্জাক রুবেল ছিলো দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাস চালিয়ে সংসার চালাতেন। তার বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। বাবার মৃত্যুর পর রুবেলই পরিবারে হাল ধরে ছিলো। বিয়ে করে হ্যাপী আক্তারকে। তাদের ছিলো নৌফা নামের একটি ছয় বছরের মেয়ে। ঘটনার সময় তার স্ত্রী হ্যাপী আক্তার ছিলো ৯ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। স্বপ্ন দেখেছিলো একটি সুন্দর ও সুখী পরিবারের। কিন্তু রুবেলের সেই স্বপ্ন একটি গুলিতে নিভিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।
রুবেলকে হারিয়ে গত একমাস দুর্বিষহ জীবন পার করছিল তার পরিবার। অবশেষে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তাই পুরো পরিবারে খুশি হলেও সংসার চালানোর চিন্তায় এখন পুরো পরিবার দিশেহারা। চিকিৎসকরা জানিয়েছে নবজাতক ও তার মা সুস্থ আছে। এদিকে রুবেলের স্ত্রীর সিজার অপারেশন ও ওষুধপত্রের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী দেবিদ্বার উপজেলা শাখা।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট দেবিদ্বার উপজেলা সদরে ছাত্র জনতার উপর আক্রমণ চালায় সন্ত্রাসীরা। ওই সময় দেবিদ্বার আজগর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসীরা পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক আবদুর রাজ্জাক রুবেলকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরিবার ও দলীয়ভাবে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। নিহত রুবেল দেবিদ্বার পৌরসভার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
বিআলো/তুরাগ