• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী: রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার প্রচেষ্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ 

     dailybangla 
    23rd Dec 2025 11:21 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    আশীষ কুমার সেন: প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির হাতে থাকলেও, এর স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখা নিয়ে প্রায়শই আলোচনা ও বিতর্ক হয়, যেখানে বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা ও নির্বাহী প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং সিনিয়রিটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া বা নতুন নিয়োগবিধি প্রবর্তনের দাবি ওঠে। বর্তমানে নতুন সুপ্রিম কোর্ট জাজেস অ্যাপয়েন্টমেন্ট অর্ডিন্যান্স, ২০২৫-এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আনুষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য মাসদার হোসেন বলেন, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সংস্কার কমিশন সরকারকে সুপারিশ করেছিল। তবে জ্যেষ্ঠতম বিচারপতির বিরুদ্ধে যদি গুরুতর কোনো অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়ে দ্বিতীয় জনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের কথা বলা হয় বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে। কিন্তু জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়ে দ্বিতীয় জন বাংলাদেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পাচ্ছেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

    সংবিধানের ৯৫ (১) ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেন এবং অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করেন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানে নির্দিষ্ট যোগ্যতা বা শর্তের উল্লেখ নেই, কেবল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগের কথা বলা আছে। তবে নির্বাহী হস্তক্ষেপের প্রশ্নে রাষ্ট্রপতির হাতে ক্ষমতা থাকায়, এটি প্রায়শই আলোচনায় আসে যে নির্বাহী বিভাগ প্রভাব বিস্তার করছে কি না, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে। অন্যদিকে জ্যেষ্ঠতার প্রশ্নে সাধারণত আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করা হলেও, কখনো কখনো এর ব্যতিক্রম ঘটে, যা নিয়ে আইন অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা ও বিতর্ক তৈরি হয়। তবে বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার প্রশ্নে প্রধান বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতার জন্য অপরিহার্য, যা গণতন্ত্রের একটি স্তম্ভ।

    দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ায় সংবিধান অনুসারে অবসরে যাচ্ছেন। আগামী ২৭ ডিসেম্বর তার কর্মজীবনের শেষ দিন। তার আগে ১৪ ডিসেম্বর বিদায়ী অভিভাষণ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে ২৭ ডিসেম্বর অবকাশকালীন ছুটি থাকায় তার বিচারিক জীবনের ইতি গত ১৮ ডিসেম্বর। এই অবস্থায় আলোচিত হচ্ছে নতুন বিচারপতি নিয়ে। কে হচ্ছেন দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি? সেক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর মধ্যে একজন দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন, এটা একরকম নিশ্চিত করেই বলা যায়। দেশের তিন অঙ্গের এক অঙ্গ ‘বিচার বিভাগ’-এর সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তি হচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। আর এই প্রধান বিচারপতি সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন। সাধারণত আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। কিন্তু বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি থাকা অবস্থায় গত বছরের ১০ আগস্ট নিয়োগ পান। ১১ আগস্ট শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রধান বিচারপতির আসনে বসেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

    সংবিধান যা আছে, বিচারক-নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করিবেন। বিচারকদের পদের মেয়াদ নিয়ে সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোনো বিচারক ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। তবে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্য থেকে মেয়াদের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতম বিচারককে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ প্রদানের সুপারিশ করছে। অন্যদিকে, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করিবেন।

    সংবিধানে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। রীতি অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্যে থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে একমাত্র দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে ও নতুন নজির সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৬ জন বিচারপতি পদত্যাগে বাধ্য হন। উত্তাল সেই সময়ে রাজপথে ছাত্র-জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। বিচার বিভাগের ইতিহাসে এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে স্থান পাবে বলে মনে করেন আইন বিশ্লেষকরা। কারণ, অতীতে দায়িত্ব পালন করা দেশের অন্য সব প্রধান বিচারপতিকে আপিল বিভাগ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারও আপিল বিভাগ থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর মধ্যে একজন দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন, এটা একরকম নিশ্চিত করেই বলা যায়।

    সংবিধান কী বলে, সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে প্রধান বিচারপতি তার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বলে রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হলে ক্ষেত্র মতে অন্য কোনো ব্যক্তি অনুরূপ পদে যোগদান না করা পর্যন্ত বা প্রধান বিচারপতি স্বীয় কার্যভার পুনরায় গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারকের মধ্যে যিনি কর্মে প্রবীণতম, তিনি অনুরূপ কার্যভার পালন করবেন।

    প্রধান বিচারপতি নিয়োগ-সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারক নিয়োগ দেবেন। সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ দান করিবেন।

    সংবিধানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। তবে দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের যেকোনো বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন। জুলাই সনদেও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, আপিলের বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতিই হবেন প্রধান বিচারপতি।

    প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ছাড়া বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি রয়েছেন। জ্যেষ্ঠতা অনুসারে তারা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এ ছয় বিচারপতির মধ্যে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে।

    সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর পূর্ণ হলে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের ৬৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তবে ১৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের শীতকালীন অবকাশ শুরু হওয়ায় গত ১৮ ডিসেম্বরই প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষবারের মতো এজলাসে বসবেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাই কোর্ট থেকে নিয়োগ হলেও তার নিয়োগের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। সে সময় আপিল বিভাগে একজন ছাড়া বাকি সবাই পদত্যাগ করেছিলেন। এ ছাড়া বর্তমান প্রধান বিচারপতি ছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম। তার নিয়োগের সময় দেখলে দেখা যাবে, তিনি তৎকালীন আপিল বিভাগের অনেকের চেয়েও জ্যেষ্ঠ ছিলেন। জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, একসময় প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। অনেকে যোগ্য থাকার পরেও তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ছাড়া বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতির পরিচিতি:-
    বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম: বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত ও ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।

    বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ২০২৬ সালের ১৪ জুলাই অবসরে যাবেন। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী: বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকেও আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম ডিগ্রি নেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ২০২৮ সালের ১৭ মে অবসরে যাবেন।

    বিচারপতি মো. রেজাউল হক: বিচারপতি মো. রেজাউল হক এম এ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৮ সালে জেলা আদালতে ও ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ২০২৭ সালের ২৩ এপ্রিল অবসরে যাবে।

    বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক: বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৯০ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ২০৩০ সালের ৬ নভেম্বর অবসরে যাবেন।

    বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান: বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট এবং ২০০১ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অবসরে যাবেন।

    বিচারপতি ফারাহ মাহবুব: বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯২ সালে জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ২০৩৩ সালের ২৬ মে অবসারে যাবেন।

    বিআলো/এফএইচএস

    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    December 2025
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    293031