দেশে থাকলে আমাকেও ভিক্ষা করে খেতে হতো: আহমেদ শরীফ
নিজস্ব প্রতিবেদক: রুপালী পর্দার ‘মন্দ মানুষ’ হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি আহমেদ শরীফ। তার দাপুটে অভিনয়ে মুগ্ধ হতেন দর্শক। গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয় করে যাচ্ছেন। বিগত ছয় বছর ধরে পরিবার নিয়ে আহমেদ শরীফ নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন এ খলঅভিনেতা। মনে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, যদি তিনি আজ বাংলাদেশে থাকতেন, তাহলে তাকে হাত পেতে ভিক্ষা করতে হতো।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএফডিসিতে প্রয়াতশিল্পীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হয়ে সেই কথা বলেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা।
এ খলঅভিনেতা বলেন, এখন শিল্পীদের অনেকেই ঠিকমতো দুই বেলা খেতে পারে না। চলচ্চিত্রে কজন মানুষ আছে যে, নিশ্চিত করে বলবে— তার দুই বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে? নেই।
আহমেদ শরীফ বলেন, আমি প্রশ্ন রাখতে চাই বর্তমানে দেশে কত মানুষের আগামীকালের বা আগামী মাসের নিশ্চিত খাওয়া দাওয়ার সুব্যবস্থা নিশ্চিত আছে! যদি মিথ্যা না বলি, নিশ্চিত ব্যবস্থা নেই। সবাই চিন্তিত সামনে মাসে কি করে সংসার চলবে। এটা কোনো মিথ্যা কথা নয়।
আহমেদ শরীফ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি দেশে এসেছেন। দেশের বাড়ি কুষ্টিয়ায় নিজ অর্থায়নে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন এ অভিনেতা। তার মতো অনেক শিল্পীই বিদেশে চলে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে আহমেদ শরীফ বলেন, আজকে আমি দেখছি অনেক শিল্পী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। শুধু ফিল্ম নয়, টিভিরও অনেক শিল্পী চলে যাচ্ছেন। কারণ দেশে আনন্দ বিনোদন কিংবা নিশ্চিন্ত থাকারও সুযোগ নেই। আমরা চাই দেশ ভালো করুক, মঙ্গল করুক।
আগামী সরকারের কাছে শিল্পীদের জন্য নিশ্চিত জীবন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে এ খলঅভিনেতা বলেন, আমি আগামীতে যদি দেশে আসি সরকারের কাছে চাইব—শিল্পীদের নিশ্চিত ব্যবস্থা থাকতে হবে। শিল্পীরা নিশ্চিত ব্যবস্থা যেন পায় আমি সরকারের কাছে চাইব।
তিনি বলেন, সুযোগ পেলে দেশে থেকে আমি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিজেকে রাখতে চাই। সরকার যদি আমাকে দায়িত্ব দেয় নেব। আর যদি না পাই তবে নিজের শেষ জীবনে একটাই চাওয়া, নিজের শহর কুষ্টিয়ার মেয়র হতে চাই। আমার ছোট্ট শহরকে ঢেলে সাজাতে চাই। এটা আমার ইচ্ছে।
বিআলো/শিলি