• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে একমত সব দল, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বে অনৈক্য 

     dailybangla 
    30th Jun 2025 9:55 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো প্রতিবেদক: দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। তবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে দ্বিমত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।

    রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।

    আলী রীয়াজ বলেন, প্রাপ্ত ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট করার জন্য অধিকাংশ দল মতামত দিয়েছে। কিছু কিছু দল এ বিষয়ে সুস্পষ্ট আপত্তি জানিয়েছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নীতিগতভাবে একমত। কোনো কোনো দল সামান্য কারণে আপত্তি জানিয়েছে। সব রাজনৈতিক দল যেহেতু দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনে নীতিগতভাবে আগ্রহী, সেক্ষেত্রে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একমত হতে পারবো। যেসব দলের এ বিষয়ে আপত্তি আছে তারা জানিয়েছে তারা আবারও এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।

    তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন করার জন্য। প্রস্তাবের পর অনেক রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাব সমর্থন করছে না। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি নামে নতুন কমিটির প্রস্তাব করেছিলাম। সেখানে এনসিসির যেসব দায়দায়িত্ব ছিল, তা সীমিত করে কাঠামোগত দিক পরিবর্তন করা হয়। যেসব রাজনৈতিক দল কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছিল তারা এর বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ নতুন কাঠামোগত দিকের প্রস্তাব তুলে ধরেছি।

    সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ প্রতিষ্ঠান কমিটি কোন কোন কমিশনে নিয়োগ দেবে তা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, নিয়োগ কমিটি সুনির্দিষ্টভাবে ৬ কমিশনের প্রধান ও সদস্য নিয়োগ এবং আইনের দ্বারা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। এগুলো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সরকারি কর্ম-কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং তথ্য কমিশন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মনে করে এই কমিশনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    কমিটির সদস্য কারা হবেন জানিয়ে তিনি বলেন, কাঠামোগত দিক থেকে চিন্তা করে বলেছি- যখন সংসদ বহাল থাকবে তখন কমিটি কীভাবে কাজ করবে সেটা বলেছিলাম। তারমধ্য প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার; যদি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে উচ্চকক্ষের স্পিকার, বিরোধীদলের নেতা ও অন্য বিরোধী দলগুলোর নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি।

    আলী রীয়াজ আরও বলেন, এর আগে এনসিসিতে আমাদের প্রস্তাব ছিল- রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির অন্তর্ভুক্তি। সেটা যেহেতু অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি, সেজন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সেখান থেকে সরে এসে প্রস্তাব দিয়েছিল রাষ্ট্রপতির একজন প্রতিনিধি আমরা সুনির্দিষ্ট করেছি। আমরা বলেছি সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের কর্মে লিপ্ত এমন ব্যক্তি নয়, মনোনয়নের পূর্বে ১০ বছর কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নয় বা কোনো সংগঠনের সদস্য নয় এমন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হতে পারবেন। প্রধান বিচারপ্রতির প্রতিনিধির ক্ষেত্রে আমরা বলেছি তার মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। কাঠামোগত দিক থেকে এটাই আমরা প্রস্তাব করেছি। নিম্নকক্ষের স্পিকার এতে সভাপতিত্ব করবেন।

    তিনি বলেন, আলোচনায় একটি বিষয় আসছে- যখন সংসদ বহল থাকবে না, তার মানে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে তখন কী হবে? আমাদের দিক থেকে প্রস্তাব ছিল এটা অব্যাহত রাখার। আলোচনা যেটা স্পষ্ট হয়েছে, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যারা এই কমিটিকে সমর্থন করে তারা মনে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে এই কমিটি বহাল রাখার প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন ওঠে ওই সময় নির্বাচন কমিশনে কীভাবে নিয়োগ হবে? আলোচনা করে অনেকে প্রস্তাব করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে সীমিতভাবে (ক্ষমতা) দেওয়া যায়। অন্য কমিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা থাকবে না।

    আগামী ২ জুলাই পরবর্তী আলোচনার দিন ধার্য হয়েছে বলেও জানান ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    2930