ধর্মীয় দানেও বাণিজ্য? পুরান ঢাকায় মাংসের বাজারে বিস্ময়
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানির ঈদে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বিতরণের জন্য দেওয়া ‘দানের’ মাংসও এবার বাণিজ্যের অংশ হয়ে উঠেছে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। কোরবানির অতিরিক্ত মাংস বাজারে বিক্রি হওয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলছেন—এই দান কি তবে ব্যবসায় পরিণত হলো?
ওয়ারী, চকবাজার, সূত্রাপুর ও লালবাগ ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দিন ও পরদিন সকাল থেকে নানা অজুহাতে ‘দান’ বা অতিরিক্ত কোরবানির মাংস খোলা বাজারে বিক্রি করছেন কিছু ব্যক্তি। প্রতি কেজি মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা অনেক জায়গায় গরুর বাজারদর থেকেও বেশি।
স্থানীয় এক ক্রেতা বলেন, “আমরা গরিবের হক মনে করে সস্তায় কিছু মাংস কিনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখানে তো রীতিমতো ব্যবসা চলছে।”
আরেক বিক্রেতা সরল স্বীকারোক্তিতে জানান, “অনেকে যা বাড়তি পড়ে যায়, সেটা দিয়ে আমরা কিছু রোজগার করি। এতে সমস্যা কোথায়?”
তবে ইসলামি চিন্তাবিদ ও সমাজ সচেতনরা বিষয়টিকে ধর্মীয় অনুশাসন লঙ্ঘনের উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, কোরবানির দান মানুষের প্রয়োজন পূরণের জন্য, মুনাফার উৎস নয়। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টায় মাংস বিক্রি জমতে শুরু করে। বেচাকেনা চলে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত। হাটগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, এ হাটের ক্রেতারা মাংস কিনে কেউ ঠকছেন, কেউ আবার জিতছেন। চৌধুরীপাড়া থেকে ২৪ কেজি মাংস নিয়ে মালিবাগ রেলগেটে এসেছেন হাফিজ মিয়া। তিনি ৮০০ টাকা বিক্রি করেছেন ওই মাংস। টাকার দরকার তাই বিক্রি করেছেন।
তবে ইসলামি চিন্তাবিদ ও সমাজ সচেতনরা বিষয়টিকে ধর্মীয় অনুশাসন লঙ্ঘনের উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, কোরবানির দান মানুষের প্রয়োজন পূরণের জন্য, মুনাফার উৎস নয়।
বিআলো/সবুজ