• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    ‘ধানের শীষ’-এ অধ্যাপক রেজাউল করিমকে চায় সোনারগাঁবাসী 

     dailybangla 
    12th Nov 2025 11:39 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের রাজনীতিতে এক অবিস্মরণীয় নাম অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। সাবেক প্রতিমন্ত্রী (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়), চারবার নির্বাচিত সফল সংসদ সদস্য, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

    রাজনীতিতে তার পদচারণা শুরু হয়েছিল ঐতিহাসিক “জাগো দল” থেকে। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপির সূচনালগ্ন থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন এবং দলীয় রাজনীতির হাল ধরেন।

    সোনারগাঁবাসীর কাছে তিনি শুধু রাজনীতিবিদই নন, একজন উন্নয়নের রূপকার। তার নেতৃত্বে সোনারগাঁওয়ের রাস্তাঘাট, মসজিদ-মাদরাসা, স্কুল-কলেজসহ প্রতিটি খাতে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন। উন্নয়নের যে ছোঁয়া তিনি এই জনপদে দিয়েছেন, তা আজও সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।

    জনগণের বিশ্বাস, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন সবচেয়ে নিরাপদ এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে অধ্যাপক রেজাউল করিমের নেতৃত্বেই। তার সততা, অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতাই তাঁকে আবারও সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে দেখতে চায় জনসাধারণ।

    এলাকাবাসীর দাবি, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিমকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান তারা।

    অন্যদিকে, বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানকে। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিও রেকর্ড ঘিরে বর্তমানে তিনি কঠিন সমালোচনার মুখে রয়েছেন।

    সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিওতে শোনা যায়, বিএনপির এই প্রার্থী এক সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনালাপে নিজেকে ঘিরে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগের জবাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

    অডিও অনুযায়ী, সাংবাদিক অভিযোগ করেন- মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ফুটপাত, সরকারি জায়গার সিএনজি ও বাসস্ট্যান্ড এবং মেঘনা টোল প্লাজা দখলের ঘটনায় মান্নানের ছেলে জড়িত।

    জবাবে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, “আগে গিয়ে নিজেরা তদন্ত কইরা হিয়ার (এর) পরে পত্রিকায় লেখেন। তাইলে আমি, আমার পোলায় গিয়া মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ড খাই, ফুটপাত খাই… সারা বাংলাদেশেই বিএনপির পোলাপান করে। ঢাকায় মির্জা আব্বাসের পোলাপান হগল (সবাই) করে, দেখতে চান আপনে?”

    তিনি আরও বলেন, “হেই দেড় বছর আগে টোল প্লাজায় কী অইছে, আমরা বাপ-পুতে ঢাকায় ছিলাম… আপনের লগে তর্ক করতে রাজি না। আপনের পত্রিকা দেইখা কথা কমু।”

    এরপর তিনি ফোন কেটে দেন বলে অডিওতে শোনা যায়।

    এই অডিও প্রকাশের পর স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

    সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন বলেন, “তিনি কিসের ভিত্তিতে এমন মন্তব্য করলেন, আমার বোধগম্য নয়। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করেছে। এতে আমাদের সম্মানহানি ঘটেছে।”

    এর আগে গত ৪ নভেম্বর আজহারুল ইসলাম মান্নানের জামাতা মাসুম বিল্লাহর দেওয়া এক হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্যও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। সেদিন অলিপুরা বাজারে এক সমাবেশে তিনি বলেন, “সাবধান, হুঁশিয়ার, লাস্ট ওয়ার্নিং। এরপর কোনো ওয়ার্নিং হবে না। আজহারুল ইসলাম মান্নানের পক্ষে কাজ করবেন। ব্যত্যয় হলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।”

    ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বিএনপির স্থানীয় নেতারা প্রকাশ্যে এ বক্তব্যের নিন্দা জানান।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, “এ বিষয়ে ফোনে কথা বলতে চাই না। সামনাসামনি আসেন, কথা বলি।”

    তিনি দাবি করেন, “যে সাংবাদিকের সঙ্গে আমার কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে, তিনি আমার প্রতিপক্ষের বানানো সাংবাদিক।”

    স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই মান্নান ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের বক্তব্য ও আচরণ দলের ভেতরে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। নির্বাচন সামনে রেখে এই বিতর্ক বিএনপির প্রার্থীকে আরও চাপে ফেলতে পারে বলেও তারা মনে করছেন।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930