নারায়ণগঞ্জবাসীর হৃদয় জয় করে বিদায় নিলেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা
মনিরুল ইসলাম মনির, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বিদায় নিলেন জেলা -প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। দায়িত্ব পালনের মাত্র দশ মাস দুই দিনে তার মানবিকতা, কর্মদক্ষতা ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ তাকে ‘মানবিক ডিসি’ হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত করে তুলেছিল।
১৬ নভেম্বর রোববার ছিল তার নারায়ণগঞ্জে শেষ কর্মদিবস। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, পেশাজীবী, সাহিত্যকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিড় জমাতে থাকেন। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় কার্যালয়ের প্রাঙ্গণ। সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায়ের মুহূর্তকে স্মরণীয় করে তোলেন।
বিদায়ী সংবর্ধনায় বক্তারা জানান, জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সবার কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। সংকট দেখা দিলে ছুটে যাওয়া, মানুষের কথা শোনা, সমস্যা সমাধানে আন্তরিক প্রয়াস- এসবই তাঁকে সবার হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছিল। বদলির খবরে অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
এক কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, “ডিসি সাহেব নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঘুষ-দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছেন।”
এক সংবাদকর্মী বলেন, “এমন মানবিক গুণসম্পন্ন ডিসিকে ভুলে যাওয়া কঠিন। তার সততা ও নিষ্ঠা অনুকরণীয়।”
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “নারায়ণগঞ্জকে যদি বিশেষ ক্যাটাগরির জেলায় উন্নীত করা যায়, তাহলে এটি আরও এগিয়ে যাবে। এখানে এসেই আমি অনেক মহান মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। এই জেলার মানুষ আমাকে কাজ করার সুন্দর পরিবেশ দিয়েছেন- আমি তাদের চিরকৃতজ্ঞ।”
এদিন বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জার্নালিস্ট ইউনিটি, কাব্যছন্দ সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা পাঠাগার, ৫০ ঊর্ধ্ব কফি হাউজ শেষবেলা ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জ, বুবলী যুব কল্যাণ সংস্থা, মায়ের আঁচল সামাজিক মৈত্রী সাহিত্য পরিষদ, বিশ্ব আশেকে হযরত ওয়াজ করোনি (রাঃ) ফাউন্ডেশন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, নারায়ণগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিআলো/শিলি



