নিউইয়র্কে হমলার ঘটনা নিয়ে আখতারের প্রতিক্রিয়া
বিআলো ডেস্ক: শেখ হাসিনার গুলি-বুলেটকে বিন্দুমাত্র ভয় পাইনি, ভাঙা ডিমে কিছুই আসে যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিমানবন্দরে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে নামার পর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হুংকার দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তারা এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এটাই আওয়ামী লীগের প্রকৃত চরিত্র।
আখতার আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মগত ও প্রকৃতিগতভাবে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, তারা স্বাধীনতাপন্থি মানুষদের ওপর সন্ত্রাস চালাবে এবং যারা জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হিসেবে আছেন, তাদেরও তারা হামলার লক্ষ্য করবে-এটি নতুন কোনো বিষয় নয় এবং এতে আমরা আর অবাক হই না।
তিনি বলেন, ‘আমরা সেই প্রজন্ম, যারা হাসিনার গুলির সামনে দাঁড়াতে ভয় পাইনি। তাই কারও ভাঙা ডিমে আমাদের কিছু যায় আসে না। বরং এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই দীর্ঘ সময়ে আওয়ামী লীগের যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ছিল সেটি খুব সামান্যই অগ্রসর হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই সুযোগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে এসেছে। এখনও তারা সন্ত্রাসের ছক কষছে। দেশে-বিদেশে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা সন্ত্রাসের যে ছক কষছে তাদের অতিদ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটসের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। কিছুটা দেরিতে বিমানবন্দর থেকে বের হলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির; এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এবং কয়েকজন বিএনপির কর্মী তাদের নিরাপত্তা দিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়েন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী। তাসনিম জারাকেও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন তারা। প্রতিবাদে ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান তোলেন আখতার। পরে পুলিশের সহযোগিতায় গাড়িযোগে বিমানবন্দর এলাকা ছাড়েন তারা।
বিআলো/শিলি