নির্ভরতা বাড়ছে আরশ খানে; ক্যারিয়ারের সুবর্ণ সময়ে আরশ খান
অভি মঈনুদ্দীন: আরশ খান, বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের এই প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় একজন অভিনেতা। অভিনয়ে সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়েই অভিনয়ের দুনিয়ায় যিনি পা রেখেছিলেন। যার অভিনয়ের শুরুর দিনকালটা ছিলো অনেক কষ্টের অনেক সংগ্রামের। একটু একটু করে আরশ যখন অভিনয় করতে শুরু করেন, কেন যেন মনে হচ্ছিলো তার যে স্বপ্ন নিয়ে তিনি অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন, তা যেন পূরণ হচ্ছেনা। কিন্তু তাতে হতাশ হয়ে যাননি তিনি। কষ্ট করে বুকে স্বপ্ন লালন করেই আরশ এগিয়ে যেতে থাকেন ধৈর্য ধরে। কয়েকটা কাজের পর যখন সুযোগ আসে সকাল আহমেদের ‘রাখাল বালিকা’ নাটকে অভিনয় করার। যেন তখনই সৌভাগ্য এসে ধরা দিলো। নাটকটির রচয়িতা ছিলেন ইসরাত আহমেদ। এরপর থেকে আরশের একটার পর একটা ভালো ভালো গল্পের নাটকে নিজেকে ছাড়িয়ে যাবারই চেষ্টা ছিলো।
আরশের ভাষ্যমতে, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে যাদের নির্দেশনায় তিনি একের পর এক নাটকে অভিনয় করছিলেন। এখনো ঘুরে ফিরে তারাই তাকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করছেন। প্রযোজক পরিচালক যেমন চাননি তাকে রিপ্লেস করতে, আরশও চাননি তাদের রিপ্লেস করতে। সাম্প্রতিক সময়ে সকাল আহমেদের আরো একটি নাটক দর্শকের মধ্যে ভীষণ সাড়া ফেলেছে। নাটকটি হচ্ছে ‘প্রথমস হারালো মন’।
এতে আরশের বিপরীতে অভিনয় করেছেন জিম। এ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে তার অভিনীত দর্শকপ্রিয় নাটকগুলো হচ্ছে ‘না বলা কিছু কথা’,‘ অ্যান্টিক পিস’, ‘দোষটা কার’, ‘হৃদয়ে ফাগুন’, ‘তুই আমার হয়ে যা’, ‘যত্ন’, ‘পাখিগো নাম ধরে ডাকো’, ‘পাজর’,‘ তুমি আমার জান’,‘ যে প্রেম অন্তরে’ ,‘ তুমি ফুলের মতো’,‘ তুমি ফুল নাকি ভুল’,‘ ছেলে মানুষী’,‘ গার্লফ্রেন্ডের প্রতিশোধ’,‘ জীবন সাথী’,‘ একদিন তুমি বুঝবে’ ইত্যাদি। দিন দিন নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযোজক পরিচালকদের আরশকে নিয়ে নাটক নির্মাণে আগ্রহ বাড়ছেই। কারণ আরশের দর্শকপ্রিয়তা এখন অনেক। নিজের অবস্থান এবং প্রাপ্তি প্রসঙ্গে আরশ খান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর কাছে অনেক শুকিরয়া।
আমি আমার নিজের অবস্থান নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। একদিন অভিনেতা হবো, অভিনয়ের দুনিয়ায় কাজ করবো-এই স্বপ্নটা ছিলো। যে কারণে শুরুতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। কিন্তু কেন যেন ব্যাটে বলে মিলছিলোনা। হতাশ না হয়ে আমি আরো উদ্যমী হয়ে এগিয়ে গিয়েছি। আজ যতোটকুই আমার অবস্থান, এর নেপথ্যে ডে ওয়ান থেকে আজ অবধি যারা আমার সঙ্গে ছিলেন তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তারা আমার পাগলামী মেনে নিয়ে কাজ করেছেন, এখনো তারাই আমার সঙ্গে আছেন। কারণ আমি কোনো স্বার্থের জন্য কখনো কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়াইনি। আমি আমার নিজের কাছে স্বচ্ছ। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, কারণ তারা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়ে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। আমাকে আরো বহুদূর যেতে হবে, যে স্বপ্ন নিয়ে এসেছি আমি সেই স্বপ্ন আমার শতভাগ পূরণ করতে হবে। আরশ প্রথম আতিক জামানের নির্দেশনায় একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। এরপর জে আই শিশিরের ‘নো মোর ওয়ার্ডস’ নামক একটি ওয়েবে কাজ করেন। তা দেখে ইমরাউল রাফাত ‘গ্যাং’ নাটক নির্মাণ করেন। এরপর ‘রাখাল বালিকা’ যা আরশের ক্যারিয়ারে ইতিহাস হয়ে যায়।