‘নীল চক্র’তে অভিনয়ের জন্য পরপর দুইবার শ্রেষ্ঠত্ব’র স্বীকৃতি
অভি মঈনুদ্দীন: চলতি বছরের ৭ জুন ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশের সিনেমার এই প্রজন্মের সবচেয়ে সুন্দরী নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্ত্তী অভিনীত সিনেমা ‘নীল চক্র’। সিনেমাটির কাহিনীকার ছিলেন অংকন পোদ্দার, নাজিম উদ দৌলা, অঞ্জন সরকার জিমি ও মিঠু খান। চিত্রনাট্য করেছেন মিঠু খান ও নাজিম উদ দৌলা। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন এনায়েত আকবর মিলন ও আসিফ আকবর। সিনেমাতে মন্দিরা চক্রবর্ত্তীও নায়ক ছিলেন আরিফিন শুভ। মিঠু খান পরিচালিত ‘নীল চক্র’ সিনেমাতে মন্দিরা চক্রবর্ত্তী আরো অভিনয়ে আরো অনেক বেশি প্রাণবন্ত ছিলেন।
অভিনয়ে নিজেকে প্রথম সিনেমা ‘কাজল রেখা’র চেয়েও ছিলেন পরিণত ও দুর্দান্ত। যে কারণে যারাই হলে গিয়ে সিনেমাটি উপভোগ করেছেন তারাই তার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। এরইমধ্যে এই সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য দুটি সংগঠন থেকে পরপর দুবার ‘নীল চক্র’তে প্রধান একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। ‘নীল চক্র’র জন্য তিনি প্রথম ‘বেস্ট অ্যাকট্রেস’র স্বীকৃতি লাভ করেন ‘৭১ মিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’র আয়োজনে। পরবর্তীতে গত শুক্রবার ‘ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ সিজন ফোর-এ ‘আউটস্ট্যাণ্ডিং পারফরম্যান্স ফর ফিল্ম নীলচক্র’র জন্য শ্রেষ্ঠতৃর স্বীকৃতি লাভ করেন মন্দিরা চক্রবর্ত্তী। তবে আজ যদি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলেটে প্রাণ-এর একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং না থাকতো তবে আজ তিনি ‘নীল চক্র’তে অভিনয়ের জন্য তৃতীয়বারের মতো সম্মাননায় ভূষিত হতেন।
অর্থাৎ হ্যাটট্রিক হয়ে যেতো মন্দিরার। কিন্তু পেশাগত কারণেই তিনি যথারীতি আজকের একটি সংগঠন কর্তৃক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে থাকতে পারছেন না। অবশ্য এ নিয়ে কোনো আফসোসও নেই। কারণ মন্দিরার কাছে আগে তার কাজটাই বড়। কাজই একসময় তাকে স্বীকৃতি এনে দিবে। কাজ না করলে কিংবা কাজের মধ্যে না থাকলেতো আর স্বীকৃতি আসবেনা। ‘নীল চক্র’তে অভিনয়ের জন্য পরপর দুটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অভিনয়ে শ্রেষ্ঠত্বর স্বীকৃতি প্রাপ্তি প্রসঙ্গে মন্দিরা চক্রবর্ত্তী বলেন, আমি অভিভূত, আমি মুগ্ধ। নীল চক্র-মুক্তির পর থেকেই দর্শকের কাছ থেকে আমি ভীষণ সাড়া পেয়ে আসছি। সিনেমাটি যতোদিন হলে চলেছে ততোদিনই নানান মাধ্যমে এতে অভিনয়ের জন্য আমি সাড়া পেয়েছি।
একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি। কাজের প্রতি ডেডিকেশন আমার আরো অনেক বেড়ে গেছে। আর এই ডেডিকেশনকে ধরে রাখতে, আরো অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যে পরপর দুটি সংগঠন কর্তৃক সম্মাননা পাওয়া। আজ শুটিং না থাকলে হয়তো হ্যাটট্রিকই হয়ে যেতো। কিন্তু কিছু করারও নেই। কারণ বিজ্ঞাপনে শুটিং-এর জন্য আগেই ডেট দেয়া ছিলো, তাও আবার সিলেটে। যে কারণে কিছু করারও নেই। ধন্যবাদ জানাই যারা আমাকে নীল চক্র’তে অভিনয়ের জন্য ভীষণ অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এবং যারা আমাকে নীল চক্র’তে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই প্রাপ্তিই আসলে আগামীদিনে আরো ভালো ভালো সিনেমায় কাজ করার অনুপ্রেরণা। আমার বাবা আর মায়ের জন্য সবার কাছে প্রার্থনা কামনা করছি তারা যেন সুস্থভাবে আমার মাথার উপর ছায়া হয়ে থাকেন।
বিআলো/ইমরান