নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাকে ইইউসহ বিভিন্ন দেশর স্বাগত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আদালত সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাস নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালতের বিচারকরা। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অনেকে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাশাপাশি এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইইউ বলছে, তাদের ২৭টি দেশই আইসিসির আইন মানতে বাধ্য। ইতালির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের দেশে নেতানিয়াহু প্রবেশ করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
নেদারল্যান্ড জানায়, তারা আইসিসির আইন মানতে বাধ্য। একই সুরে বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইউরোপের দেশগুলোর উচিত ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা। এছাড়াও, যত চুক্তি আছে সব বাতিল করার আহ্বান জানায় দেশটি।
এর পাশাপাশি, গণহত্যার জন্য ইসরাইলের সব কর্মকর্তাকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানায় তুরস্ক। একইসঙ্গে আইসিসির আইনকে সম্মান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক সব মুক্ত দেশকে আইসিসির রায় মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাকচ করে দেয়া হয়েছে এই রায়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর আইসিসির আর কোনো কিছু করার নেই। এছাড়া ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেন, তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ‘বিপজ্জনক নজির’ স্থাপন করেছে আইসিসি।
অন্যদিকে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডন সার বলেন, যেসব দেশ এই আইন মানবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব দেশের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বিআলো/শিলি