নোয়াখালীর হাতিয়ায় যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও চোরাই স্বর্ণসহ আটক ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক: নোয়াখালীর হাতিয়ায় কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ বিশেষ অভিযানে ৫টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও চোরাই স্বর্ণসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে দুইজন ডাকাত, এক নারী সহযোগী এবং এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩০ জুন রাত ২টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন হাতিয়া এবং পুলিশ যৌথভাবে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে শামীম ডাকাত বাহিনীর দুই সক্রিয় সদস্য মোঃ সোহেল (২৩) ও মোঃ সুমন উদ্দিন (৩৫), তাদের নারী সহযোগী মোছাঃ পারুল বেগম (৩২) কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, ২ বোতল চেতনানাশক ঔষধ, ২ ভরি ১২ আনা তামার উপর স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া চোরাই চুড়ি এবং ১০ ভরি ১৩ আনা চোরাই রুপার অলংকার জব্দ করা হয়।
ডাকাতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে সোনাদীয়া ইউনিয়নের মাইজদি বাজার এলাকার প্রিয়া জুয়েলার্স থেকে বিভিন্ন সময় ডাকাতি করা মোট ২০ ভরি ৪ রতি ৮ পয়েন্ট স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চোরাই স্বর্ণ ব্যবসা ও মজুদের অভিযোগে প্রিয়া জুয়েলার্সের মালিক উজ্জল বনিক (৪২) কে আটক করা হয়।
আটককৃত ডাকাত, নারী সহযোগী এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। উপকূলীয় এবং নদীতীরবর্তী এলাকায় এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
বিআলো/তুরাগ