“ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে “ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং ক্লাইমেট একশন নেটওয়ার্ক এশিয়ার যৌথ উদ্যোগে সোমবার (২৫ আগস্ট ২০২৫) বনানীর হোটেল পার্লে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফসিল ফুয়েল নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ-এর স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার হার্জিত সিং।
সভায় আলোচক হিসেবে অংশ নেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের (DoE) পরিচালক মো. জিয়াউল হক, সেন্টার ফর রিনিউএবল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অধিকার ও সুশাসন কর্মসূচি পরিচালক বনস্রী মিত্র নিয়োগী, CAPS পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, IEEFA প্রধান বিশ্লেষক শফিকুল আলম, 350.org এর দক্ষিণ এশিয়া সমন্বয়কারী আমানুল্লাহ পরাগ, ফসিল ফুয়েল নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ-এর এশিয়া ক্যাম্পেইনার শিবায়ন রাহা।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে কয়লা, তেল ও এলএনজির উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হওয়ায় অর্থনৈতিক ও জ্বালানি নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অগ্রগতি থাকলেও তা এখনও মোট জ্বালানি উৎপাদনের তুলনায় সামান্য।
হার্জিত সিং বলেন, “বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ হলেও, বৈশ্বিক চাপ ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতায় অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়।”
অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, আমাদের জ্বালানি চাহিদা আছে, কিন্তু উৎপাদন পর্যাপ্ত নয়। সবার সম্মিলিত উদ্যোগেই জ্বীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, কয়লাভিত্তিক প্রকল্প কৃষি, লবণ চাষ ও জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলা, আমদানি নির্ভরতার কারণে বারবার জ্বালানির দাম বাড়ছে ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে উৎসাহিত করতে ভর্তুকি ও কর ছাড় জরুরি।
আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল। সমাপনী বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ক্লাইমেট একশন নেটওয়ার্ক দক্ষিণ এশিয়ার উপদেষ্টা পলাশ দাস।
বক্তারা সর্বসম্মতভাবে বলেন, ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর শুধু বিকল্প জ্বালানিতে যাওয়ার প্রক্রিয়া নয়; এটি একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের অপরিহার্য অংশ।
বিআলো/এফএইচএস